ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বেশ আগেই। এখন চলছে ভোট গণনা। ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারও কথা বলেন দুই দলের নেতাদের সঙ্গে। বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সরকার উভয় পক্ষকেই বার্তা দিয়েছে, বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হবে।
উত্তেজনা নিরসনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী এবং ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী টেলিফোনে কথা বলেন দুই দলের নেতাদের সঙ্গে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আইন উপদেষ্টা এবং আরও দুই-একজন ফোন করেছিলেন। তারা উত্তেজনা কমাতে পরামর্শ দিয়েছেন। বিএনপি আশ্বস্ত করেছে, সংঘাতের আশঙ্কা নেই। দলের সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের এ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতারা সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সরকারকে বলা হয়েছে, জামায়াত সংঘর্ষে জড়াবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে না। তবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা ছাড়বে না।
এদিকে, নির্বাচনের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তাই বিএনপি এবং জামায়াতের নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে অংশ নেন। ভোট চলাকালে প্রেস ক্লাব এলাকায় অংশ নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শাহবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান নেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। শাহবাগের একপাশে বিএনপির নেতাকর্মীরাও ছিলেন।
সন্ধ্যার পর মহানগর ছাত্রদল বাংলামোটর এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যায়। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে অংশ নেন। জামায়াতও শাহবাগে অবস্থান ধরে রাখে। এতে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
শাহবাগে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান-মিছিল
ফলাফলের অপেক্ষায় সিনেট ভবনের ভেতরে বাইরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
থমথমে ঢাবি ক্যাম্পাস, সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী