ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ইদ্রিস মিয়া টাকা ছাড়া করছেনা কোন নামজারী। জমির পরিমান বেশী হলে টাকার অংক বেড়ে যায়। এতটা নামজারী করতে বারো হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত সে নিয়েছে অভিযোগ রয়েছে জমির মালিকদের। ২২ অক্টোবর বুধবার ১২:৩০ ঘটিকার সময় পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে আবেদনকারীরা অফিসে ভীড় জমাচ্ছে। পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নে চরনারায়নপুর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল হক বেপারী বলেন আমি নামজারী করতে আসলে আমার নিকট টাকা দাবী করেন। কিন্তু আমার সাব কবলা জমিন আমি নামজারীতে কিসের টাকা দিবে। আমি টাকা না দেওয়াতে আমাকে হয়রানি করে আবেদন বাতিল করেছে। পূর্ব ডামুড্যা ০৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন আট শতাংশ জমি নামজারী করতে বারো হাজার টাকা নিয়েছে।

টাকা নেওয়ার পরেও আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। মোঃ শাহজাহান দেওয়ান বলেন আমি সরকার নির্ধারিত ফি ১১৭০ টাকা ব্যতিত আর কোন টাকা দিবোনা বলার কারণে আমার নামজারী আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। গড়োয়া গ্রামের নাসির মাঝি কান্দির আঃ হাই মাঝি বলেন আমি নামজারীর আবেদন করেছি আমার সাব কবলা দলিল ও সকল কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও আমার নামজারী নিয়ে এই সহকারী ভূমি অফিসার মোঃ ইদ্রিস মিয়া প্রচুর হয়রানি করিতেছে। স্থানীয় লোকজন এবং জমির মালিকরা ইদ্রিস মিয়া বিরুদ্ধে সহকার কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করিয়াছে। এ বিষয়ে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নে সহকারী ভূমি অফিসার মোঃ ইদ্রিস মিয়া বলেন কাগজপত্র ও অন্যান আনুষাঙ্গিক ভুলত্রুতির কারণে আবেদন বাতিল করার কারণে তাহারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়াছে। এ বিষয় সহকারী কমিশনার ভূমি তরিকুল ইসলাম বলেন আমি লিখিত অভিযোগ পেয়ে পূর্ব ডামুড্যা ভূমি অফিসে গিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র ও দলিলসহ জমির মালিকদের বিভিন্ন কথাবার্তার অডিও ভিডিও নিয়ে আসছি। আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো।

আরও পড়ুন
নির্যাতন ও দারিদ্র্য পেরিয়ে তিন নারীর অদম্য জয়গাথা
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চোখের জলে ভাষিয়ে চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আলাউদ্দিন
কোম্পানীগঞ্জে মাদক নির্মূলে ফুঁসে উঠছে যুবসমাজ! ঐক্যের ডাকে সভা সম্পন্ন