ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধিঃ মোঃ নুরুল ইসলাম খোকন। ডামুড্যা উপজেলার পৌর শহর ও গ্রামগঞ্জে প্রতিদিনই হচ্ছে চুরি। থেমে নেই কোন রাত্রি। চোরের ভয়ে আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। ১৩ ফেব্রæয়ারী বৃহস্পতিবার ডামুড্যা পৌরসভা কাজী মোঃ হাফিজুর রহমানের অফিসের দরজা ভেঙ্গে ষ্টীলের আলমারি খুলে নগদ ৯২৫০০ টাকা, সৌর বিদ্যুতের ১২ ভোল্টের ব্যাটারী সহ, টেবিলে সাজানো বিদেশী মুদ্রা সহ মুল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন প্রতিদিনের মত অফিসের তালা বন্ধ করে বাসায় চলে যাই। আজ ভোরবেলা মহিলারা পানি নিয়ে যাওয়ার পথে দেখেন অফিসের পিছনের দরজা খোলা দেখে আমাকে ফোন দেন। আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখি পিছনের দরজা খোলা, ষ্টীরের আলমারী খোলা সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে। নগদ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও সোলারের ব্যাটারী নিয়ে গেছে। আমি ডামুড্যা উপজেলা কাজী সমিতির কোষাধ্যক্ষ। প্রতিমাসে সমিতির টাকা উত্তোলন করে আমাকে ব্্যাংকে জমা দিতে হয়। গত মাসের টাকা আজ ব্যাংকে জমা দিবো বলে ষ্টিলের আলমারীর ড্রয়ারে রেখেছিলাম।
গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারী ডামুড্যা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে আউয়াল রাড়ীর বিল্ডিং এর তৃতীয় তলায় প্রবাসী ফারুক আলম মাদবরের দরজা ভেঙ্গে ডায়মন্ড লকেট, স্বর্ণের চেইন ও আংটি, ঝুমকা, নাকফুল সহ ৪ লক্ষ টাকা ও নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। গত সপ্তাহে ডামুড্য উত্তর বাজারে একটি ফিডের দোকান ও দুইটি মুদি দোকানে চুরি হয়। এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানায় ভূক্তভূগিরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ডামুড্যা থানা অফিস হাফিজুর রহমান মানিক বলেন আমি এ ব্যাপারে বাজারের কমিটি নিয়ে কয়েক দফা মিটিং করি। বাজারে মনিটরিং এর জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা বলেছিলাম। বাজারের কমিটির কোন সদস্য এই ব্যাপারে কোন গুরুত্ব দেয় নাই। চোরের সংখ্যা দিন নিদ বেড়েই চলছে এবং প্রতিদিনই চোর ধরা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা ও নিত্যপণের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রংপুরে বিএনপির সমাবেশ
গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা ও করণীয় শীর্ষক সম্মেলন
পাঁচ দফা দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ