October 4, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, July 11th, 2023, 9:17 pm

ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) করপোরেশনের আওতাধীন ধানমন্ডি ১৫/এ, দেওয়ানবাগ, মায়াকানন, নবাবগঞ্জ, জিন্দাবাহার প্রথম লেন, বংশাল, অভয় দাস লেন, আর কে মিশন রোড, মান্ডা, উত্তর যাত্রাবাড়ী ও দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।

ধানমন্ডির ১৫/এ এলাকায় আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক এবং ধনিয়া এলাকায় বিশ্বাস বিল্ডার্স নির্মিত নির্মাণাধীন ভবনসহ মোট ১৬টি স্থাপনাকে জরিমানা করা হয়েছে।

১ নং অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক ধানমন্ডি ১৫/এ এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক নির্মিত একটি নির্মাণাধীন ভবনসহ পাঁচটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পান তিনি।

আদালত এ সময় আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবকে একটি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। বাকি চার স্থাপনায় চার মামলায় আরও ৫২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।

সবমিলিয়ে অঞ্চল-১ এ পরিচালিত আদালত পাঁচ মামলায় এক লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

২ নং অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম আর সেলিম শাহনেওয়াজ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় ২৫টি এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানবাগ এলাকায় ১৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনও স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

এছাড়া ২ নম্বর অঞ্চলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ২৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তিনি একটি স্থাপনায় ওয়াসার মিটারের নিচে মশার লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জ এলাকায় ১৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

আদালত এ সময় দুইটি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ৯০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানার আদালত বংশালের জিন্দাবাহার প্রথম লেনে ১৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন।

তিনি দুইটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ছয় হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ অভয়দাস লেন ও আর কে মিশন রোড এলাকায় ২২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। দুইটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি।

সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের মান্ডা এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি।

১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় ২৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় বিশ্বাস বিল্ডার্সের নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া আরেকটি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আজকের অভিযানে সর্বমোট ২৬৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৬টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

—-ইউএনবি