ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এ যানজট দিনে কিছুটা কমলেও দুপুরের পর আবারও বাড়তে থাকে। এতে দূরপাল্লার যাত্রী ও চালকরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
জানা গেছে, ভোররাতে সোনারগাঁ উপজেলার মোগড়াপাড়া এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে একটি গাড়ি বিকল হয়ে গেলে যানজটের সূত্রপাত হয়। পরে ধীরে ধীরে তা দীর্ঘ হয়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। অল্প দূরত্বের যাত্রীরা বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হন।
যানজটে আটকে পড়া যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সকালে ঢাকা থেকে বাসে উঠে শিমরাইলে এসে তিন ঘণ্টা ধরে বসে আছি। কোনো নড়াচড়া নেই।”
একইভাবে এক নারী যাত্রী বলেন “শিমরাইল থেকে একুশে পরিবহনে উঠেছি। কাঁচপুর পার হতে লেগেছে দুই ঘণ্টা। এখনও গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশ কী করছে, তা বুঝতে পারছি না।”
ফেনীগামী যাত্রী আরিফ ও মামুন অভিযোগ করেন, “শিমরাইল থেকে সকাল ১০টায় বাসে উঠলেও মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ যেতে লেগেছে দুই ঘণ্টা। মহাসড়কে পুলিশ ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এ দুর্ভোগ হতো না।”
এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ক্যাম্প ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, “মোগড়াপাড়া ও দড়িকান্দি এলাকায় বড় গাড়ি বিকল হয়ে পড়েছিল। এর সঙ্গে ছুটিকে ঘিরে গাড়ির চাপ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।”
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, “গাড়ি বিকল হওয়া, বৃষ্টি এবং পূজার কারণে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ তৈরি হয়েছিল। ভোর থেকে পুলিশ কাজ করছে। এখন যানজট অনেকটাই কমে এসেছে, যদিও গাড়ি ধীরগতিতে চলছে।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
রাজধানীতে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ১৩১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
ত্রিভুজ প্রেমের বলি জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ: ডিএমপি
ওএসডি থাকা ৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার