September 9, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, September 8th, 2025, 6:56 pm

ঢাবি ক্যাম্পাসে ভোট নিয়ে জল্পনা-কল্পনায় শিক্ষার্থীরা

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের একদিন আগে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে ভোটের আমেজ বিরাজ করছে।

নির্বাচনের প্রচারণা থেমে গেলেও শিক্ষার্থীদের আড্ডায় এখন শুধু ভোট এবং এর সম্ভাব্য ফলাফল নিয়েই আলোচনা।

জাতীয় রাজনীতিতে এই নির্বাচনকে আগামীর সংসদ নির্বাচনের একটি রিহার্সাল হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি করেছে। বিভিন্ন প্রার্থীর জয়-পরাজয় নিয়ে চলছে নানান বিশ্লেষণ।

ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৬২ জন প্রার্থী লড়ছেন। এর মধ্যে ভিপি পদে ৪৮, জিএস পদে ১৯ এবং এজিএস পদে ২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন, স্বতন্ত্র প্যানেল এবং জোটের প্রার্থীরা আলোচনায় রয়েছেন।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

অন্যদিকে, ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্যানেল থেকে ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান আলোচনায় রয়েছেন। এই দুটি প্যানেলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

রাজনৈতিক প্যানেলের বাইরে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শামীম হোসেনও শিক্ষার্থীদের মাঝে সাড়া ফেলেছেন।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে আবদুল কাদের এবং জিএস পদে আবু বাকের মজুমদার লড়ছেন। জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মাহিন সরকার শেষ মুহূর্তে আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় এই প্যানেলটি আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে উমামা ফাতেমা, ছাত্রঅধিকার পরিষদ থেকে ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং বামপন্থী শিক্ষার্থীদের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে ভিপি পদে শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি এবং জিএস পদে মেঘমল্লার বসু লড়ছেন।

সব মিলিয়ে, ডাকসু নির্বাচনের আগের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণেই এখন শুধু আগামীকালের ভোটের দিনের জন্য অপেক্ষা। শিক্ষার্থীদের মনে মিশ্র অনুভূতি: উত্তেজনা, প্রত্যাশা এবং আছে শঙ্কা। কি হবে আগামীকাল? সেটা নিয়েই চলছে জল্পনা-কল্পনা।

এনএনবাংলা/