নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা এবং খোলায়াড় কোটার বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কোটার এই বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই রুল দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ পাঁচ বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। আদেশের পর আইনজীবী পল্লব সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে পড়েন না। অথচ তাদের সন্তানরা ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ বা পাস নম্বর পেলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি বৈষম্যমূলক বিধান। এ ধরনের বিধান সংবিধান ও আপিল বিভাগের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা এবং খোলায়াড় কোটা বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে গত ৫ নভেম্বর বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবীর পক্ষে সোলায়মান তুষার এই নোটিশ দেন।
জবাব না পেয়ে ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রিটে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরীক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিলের নির্দেশনাসহ রুল চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনা-জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
স্ত্রী-সন্তানসহ শাহরিয়ার আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে হাসান আরিফের চিরবিদায়