নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে আর কোনো দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। শনিবার দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে মাহবুবউল আলম হানিফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে যে বাংলাদেশে আর কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে না। যদি কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অবমাননা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের কোন সুযোগ নেই।
হানিফ বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। কিন্তু আমি বলতে চাই এই কথাটি ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বেগম খালেদা জিয়া একাধিক জনসভায়ও বলেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওই বেগম খালেদা জিয়া ৩০-এর নিচে আসন পেয়েছিল। তারা জানে, আগামী নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনে জয়লাভ করার বা বিজয়ী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে তারা জনগণ থেকে ধিকৃত আবারও হবেন। কারণ, তারা দেশের জন্য বা জনগণের জন্য এমন কোন কাজ করেন নাই যে, জনগণ তাদের ওপর আস্থাশীল হবে বরং তাদের প্রতিটি কুকর্ম, সন্ত্রাস-নাশকতা, দুর্নীতির জন্য এবং পেট্রোল বোমায় মানুষ হত্যার কারণে তারা জনগণ থেকে এতটাই দূরে সরে গেছে। আগামী নির্বাচন তো দূরের কথা, তাদের জীবদ্দশায় আর কোনদিন বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করুক এবং তাদের পছন্দের দলকে নির্বাচিত করে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও আলহাজ¦ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালের সঞ্চালনায় আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, মেজর অবসরপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়ে ‘নিরপেক্ষ সরকার’ না থাকলে বিএনপি সেই নির্বাচন মেনে নেবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব সরকারের প্রতি এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কথা খুব পরিস্কার, নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর হবে না। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই একটি নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন হতে হবে। শেষ কথা আমরা কোনো নির্বাচন মনে নেবো না যদি নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সেই নির্বাচন না হয়।‘
সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের(সরকার) দিন ঘনিয়ে এসেছে। আপনাদের দিন শেষ। এখনো সময় আছে, মানুষের ভাষাগুলো পড়েন। দেয়ালের লিখন দেখেন। দেখে মানে মানে নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তৈরি করে সরে যান এবং জনগনকে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে দিন।‘
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে হবে। এখন থেকে সকলে সুশৃঙ্খল হোন, বিশৃঙ্খল হবেন না। শুধু পদের জন্য দৌঁড়াবেন না। নতুন কমিটি হচ্ছে তার জন্য মাঠ বোঝাই করে দেবেন না। মাঠ বোঝাই করবেন যখন আন্দোলনের ডাক আসবে। মাঠ বোঝাই করবেন যখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা মাঠে নামব। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যখন আমরা মাঠে নামব। তখন মাঠ বোঝাই করবেন, রাস্তায় বোঝাই করবেন।‘
আওয়ামী লীগ সরকারকে দানব আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আসুন এটাই পথ। আন্দোলন ছাড়া, গণআন্দোলন ছাড়া, গণঅভ্যুত্থানের জন্য এই দানব সরকারকে সরানো যাবে না। দানবকে সরাতে হলে আমাদের সমস্ত জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে, সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদেরকে এই গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা এই দানবকে আমাদের বুকের ওপর থেকে সরিয়ে নিয়ে মুক্ত বাতাস, মুক্ত বাংলাদেশ, মুক্ত গণতন্ত্র সৃষ্টি করি।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ সরকারের তাদের কোনো জনসমর্থন নাই। রাজনৈতিকভাবে তারা সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা জানে যে, যদি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে তারা ৩০টা আসন পাবে না। এই কারণে তারা কী করেছে? সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভাগ এমনটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে কষ্ট হয় বলতে আমাদের এই যে, গণমাধ্যম-এটাকেও তারা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। ফলে আজকে গোটা জাঁতি কথা বলতে পারছে না, তাদের মতামত দিতে পারছে না।‘
আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ যারা, প্রজাতন্ত্রের যারা আমরা নাগরিক আমরা একটা দিনই রাজা হই। যেদিন আমি ভোট দিতে পারি। কিন্তু সেই ভোটের অধিকারটা এই সরকার কেড়ে নিয়েছে। এখন কেউ ভোট দিতে যেতে পারে না। এই ভোটের অধিকারটা, কথা বলার অধিকারটা এটা আমরা এমনি এমনি পাইনি। আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করতে হয়েছে, লড়াই করতে হয়েছে, আমাদের দেশকে স্বাধীন করতে একটা রক্তাক্ত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয়ী হতে হয়েছে।‘
ইভিএমের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ এখন আবার চেষ্টা করছে আবার তারা ক্ষমতায় আসবে ওই ধরনের একটা নির্বাচন করে। যে নির্বাচনে জনগন ভোট দিতে পারবে না। তারা ইভিএম চালু করেছে। এই যন্ত্র একটা বড় হাতিয়ার কি করে ভোট চুরি করা যায়, কি করে ভোট না পেয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়।‘
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার হুদা সাহেব নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধবংস করে দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে তিনি রাশিয়াতে গিয়ে নির্বাচন পদ্ধতি দেখে এসেছেন। রাশিয়ার একই অবস্থা। একইভাবে যে থাকে সরকারে হয় সে একবার প্রেসিডেন্ট হয় না হয় প্রধানমন্ত্রী হন। যা বাংলাদেশের সঙ্গে তার কোনো পার্থক্য নাই। ওটা দেখে এসেছেন উনি দিনের বেলা কিভাবে ভোট চুরি করা যায়, সেটা শিখে এসেছেন। এই চক্রান্ত, এই ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করবার এই ভয়াবহ যে প্রচেষ্টা-এটা আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।‘
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন ‘ভয়ংকর’ সব আইন করে জনগনের কথা বলার অধিকারকে ‘সরকার পায়ের তলায় দাবিয়ে রেখেছে’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ‘১ অক্টোবর ২০০১ : নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সর্বশেষ নির্বাচন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
দ্বাদশ সংশোধনী অনুযায়ী বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে বিএনপির সংখ্যাগরিষ্ট আসনে বিজয়ের পর খালেদা জিয়া সরকার গঠন করেছিলেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ ওবায়দুল কাদের বলেছেন যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে তারা সংবিধান বিরোধী কথা বলে। এই সংবিধানকে শেষ করে দিয়েছে, কাটা-ছেড়া করেছে এই সরকার। তারা আবার লম্বা লম্বা কথা বলে। তারা(সরকার) বলছে, সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফিরে যাওয়ার সুযোগ নাই। এর সোজা ভাষা হলো আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নাই। যে আওয়ামী লীগ চিরজীবন ক্ষমতা থেকে যাবে না।‘
পুলিশের দমন নিপীড়নের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, ‘এই পুলিশ দিয়ে, এই প্রশাসন দিয়ে এই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিএনপিকে দমন করে রেখে, দেশবাসীকে দমন করে রেখে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকবে। তারা একটা ইতিহাস ভুলে গেছে পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারেনি এবং স্বৈরাচারকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আমাদের এখন একটাই কথা যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।‘
বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দিতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে প্রেসক্লাবে জায়গা দেবেন না, আমাদেরকে ফুটপাতে জায়গা দেবেন না। আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেবেন না। এটা হবে না। সব মানুষের মুখে একটা আওয়াজ- আওয়ামী লীগ বোধহয় গেলো, বিএনপি বোধহয় আসছে। ইনশাল্লাহ আওয়ামী লীগ যাবে, বিএনপি ইনশাল্লাহ আসবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতন আমাদের ঘটাতেই হবে যেভাবে হোক। এই শত্রুকে নিপাত করতে হবে। এরা থাকলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না, আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবেন না, এদেশে গণতন্ত্র থাকবে না, এদেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে না।‘
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম বক্তব্য রাখেন।
এই অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজউদ্দিন আহমেদ, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, হালিমা নেওয়াজ আরলী, রেহানা আখতার রানু, শাম্মী আখতার, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আমিনুল হক, মীর নেওয়াজ আলী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, রফিকুল আলম মজনু, এসএম জাহাঙ্গীর, ইয়াসীন আলী, আরিফা সুলতানা রুমা, শায়রুল কবির খান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ সহা¯্রাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের অধুনালুপ্ত একপ্রকারের শাসন ব্যবস্থা, যার অধীনে দুইটি নির্বাচিত সরকারের মধ্যবর্তী সময়কালে সাময়িকভাবে অনির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ কোন দেশের শাসনভার গ্রহণ করে থাকে। সাধারণত নির্বাচন পরিচালনা করাই এর প্রধান কাজ হয়ে থাকে। ২০১১ সালের ১০ মে বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেয়। এছাড়াও বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন
আগামী বিজয় দিবস গণহত্যাকারীর শাস্তির রায়ে উদ্যাপন হবে: আসিফ নজরুল
শুধু সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যও প্রয়োজন ঐক্য
কাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু: উপদেষ্টা