May 12, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, May 11th, 2025, 6:40 pm

তথ্য গোপন করে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি

মাসুদ রানা, বরিশাল প্রতিনিধি : বিয়ের তথ্য গোপন করে ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স সিভিলে স্টেশন অফিসার পদে চাকরী সহকারী পরিচালকের দপ্তর, চট্রগ্রাম কর্ণফুলী ইপিজেড ফায়ার স্টেশন কর্মরত আছে ইমরান হোসেন। তিনি বরিশাল ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মৃত এনায়েত হোসেনের পুত্র। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম, প্রতারণা অভিযোগ। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অবগত হলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে ইমরান। অথচ ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে প্রার্থীর দেয়া তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে যে কোনভাবে নিয়োগ বাতিল হবে। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছর অতিক্রম হলে ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার পদে চাকরীরত কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বিয়ের তথ্য গোপন রেখে চাকরী করে আসছেন। তার নিজ স্ত্রীর দেওয়া অভিযোগের তথ্য অনুযায়ী তদন্ত কমিটি হয়। তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালকের অধিদপ্তর জমাও হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ১৫ অক্টোবর ২০১৫ খ্রি. এফএসওসিডি/৩৪/২০১৫ (প্রঃ)/১০২৮৭ নং স্বারকের মাধ্যমে দুটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিপরীতে ইমরান হোসেন ২০১৬ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে অফিসার পদে মিরপুর অফিসে যোগদান করেন। ধুরন্ধার ইমরান সকল ধরনের কর্মকান্ড নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে বিয়ের তথ্য গোপন রাখেন। ১৯৯৯ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী স্টেশন অফিসার পদে চাকরি পাওয়ার অন্যতম শর্ত হলো তাকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। কিন্তু ইমরান নিয়োগ বিধির শর্ত ভঙ্গ করে স্টেশন অফিসার হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করেছে। গেল ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং ঝালকাঠি জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট শামীম আকন, মহাপরিচালক বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এবং সেখানে মহাপরিচালককে ফায়ার সার্ভিসের বিধি মোতাবেক ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্ট আইন অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন কিনা? তাহা আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিলো। এ বিষয় বরিশাল ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সহকারী উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন জানান, ইমরান হোসেনের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি আমি তদন্ত করেছি। বিয়ের পর ইমরানের চাকরী হয়েছে, সে মর্মে আমি কাবিন নামাও দেখেছি। তদন্ত রিপোর্ট আমি মহা পরিচালকের অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার হাতে কিছু নেই। দোষী সাব্যস্ত হলে অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে। ইমরান হোসেন জানান, আমার স্ত্রীর সাথে আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। একটা মামলা খারিজ হয়ে গেছে। সে আরেকটা মামলা দিয়েছে। অভিযোগের পর আমি অনেকদিন সাময়িক বরখাস্ত ছিলাম। চাকরীর আগে বিবাহ বিষয়টি নিয়ে বলতে তিনি নারাজ। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহিদ কামাল মুঠোফোনে জানান, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনীকার্য চলমান রয়েছে।