July 3, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, July 2nd, 2025, 8:45 pm

তাপপ্রবাহে ইউরোপে রেড অ্যালার্ট, ৪ জনের মৃত্যু

 

তীব্র তাপদাহ বিপর্যস্ত পুরো ইউরোপ। হয় ভয়াবহ গরম, না হয় দাবানল। এরই মধ্যে স্পেন ও ফ্রান্সে দুজন করে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বন্ধ করে দিতে হয়েছে সুইজারল্যান্ডের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি। একযোগে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, তুরস্কসহ একাধিক দেশে চলছে রেকর্ড গরম ও এ কারণে বিপদের আশঙ্কায় রয়েছে শত শত মানুষ।

এদিকে, স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কাতালোনিয়া অঞ্চলের তোরেফেতা এলাকায় ভয়াবহ দাবানলে মঙ্গলবার (১ জুলাই) পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। দাবানলটি প্রায় ৪০ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, ধ্বংস করেছে বহু খামার।

এদিকে, ফ্রান্সের জ্বালানিমন্ত্রী অ্যাগনেস পানিয়ের রুনাশের জানিয়েছেন, তীব্র তাপদাহে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অন্তত ৩০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ফ্রান্সের আবহাওয়া অধিদপ্তর ‘মেতিও ফ্রান্স’ জানিয়েছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় এখনো লাল সতর্কতা জারি রয়েছে।

ফ্রান্সের বিভিন্ন অঞ্চলে আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। তার মধ্যে প্যারিসে ৩৪ ডিগ্রি, স্ট্রাসবার্গ, লিওন, গ্রেনোবল ও আভিনিয়নে ৩৬-৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা হতে পারে।তবে পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। এরইমধ্যে পূর্বাঞ্চলে ভারি বজ্রবৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইতালির ফ্লোরেন্সে আজকের (২ জুলাই) তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে জানানো হয়েছে। দেশটির ১৮টি শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে মিলান ও রোমও রয়েছে।

তুরস্কেও তীব্র দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই বছরের গ্রীষ্ম মৌসুমে এতটা তীব্র তাপমাত্রা এত আগেই দেখা দেওয়া ‘অস্বাভাবিক’ ও তা জলবায়ু পরিবর্তনের সুস্পষ্ট প্রতিফলন।

এই চরম আবহাওয়ার কারণে সুইজারল্যান্ডের বেজনাউ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি চুল্লি মঙ্গলবার (১ জুলাই) বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে ইউটিলিটি কোম্পানি অ্যাক্সপো। একই সঙ্গে আরেকটি চুল্লির উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে, কারণ নদীর পানি অত্যধিক গরম হয়ে যাওয়ায় তা চুল্লিগুলোকে ঠান্ডা রাখার উপযোগী থাকছে না।

বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে বিজ্ঞানীরা মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো থেকে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকে দায়ী করছেন। বন উজাড় ও শিল্প কারখানাগুলোর ধোঁয়াও একটি বড় ভূমিকা রাখছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সাল ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।

 

সূত্র: রয়টার্স