গত ছয় দশকের মধ্যে রাজধানীতে তাপপ্রবাহের কারণে সবচেয়ে উষ্ণতম দিনগুলোতে ভোগান্তির শিকার হওয়ায় এখানে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিক্রি দৃশ্যত দ্বিগুণ হয়েছে।
এসিই প্রায় একমাত্র বিকল্প যা স্বাভাবিক রুটিনে বিঘ্ন ছাড়াই কিছুটা স্বস্তি দেয়। ঢাকার অনেক ইলেকট্রনিক্সের দোকানে এসি কেনার জন্য গ্রাহকদের চাপ বেড়েছে।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আউটলেটের বিক্রয় অপারেটররা ইউএনবিকে জানান, সাধারণত গ্রীষ্মের মৌসুমে এসির বিক্রি বাড়ে। তবে এই বছর বিক্রয় বৃদ্ধি ইতোমধ্যে অসাধারণ, অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ, যা অনেকটাই তাদের প্রত্যাশার বাইরে।
তারা বলছিলেন যে আগে শুধুমাত্র ধনী পরিবারগুলোই এসি কিনত, কিন্তু এখন সমাজের অনেক বড় অংশ যা একসময় ‘বিলাসবহুল’ পণ্য হিসাবে বিবেচিত হত তা কিনতে সক্ষম।
বিক্রয়কর্মীদের দাবি, তীব্র চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এসি এখন আর ‘বিলাসবহুল’ পণ্য নয়, বরং ‘নগরবাসীদের জন্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ’।
বনানীতে এলজি বাটারফ্লাই আউটলেটের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘গরম সবেমাত্র শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা যেভাবে ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ অতিক্রম করেছে তা সহনীয় নয়। এ জন্য প্রচুর এসি বিক্রি হচ্ছে। পণ্যটি দোকানে তোলার আগেই বিক্রি হয়ে যায়। এখনও অনেক অর্ডার আছে, কিন্তু শেষ করতে পারছি না।’
অন্যদিকে গরমে এসির দামেও প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। গত বছরের তুলনায় এক টনের এসির দাম ১০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। যেসব বড় আকারের এসি বড় পরিসরে সেবা দিতে পারে, সেগুলোর দাম ব্র্যান্ডভেদে বেড়েছে ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ওয়ালটনের মতো দেশি কোম্পানিগুলো এসির বাজারে প্রবেশ করলেও এখনও বিদেশি ব্র্যান্ডের আধিপত্য রয়েছে।
তাই এসি বিপণন সংস্থাগুলো আমদানি এসির উচ্চ মূল্যের চালিকাশক্তি হিসেবে মার্কিন ডলারের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রা বিনিময়ের অবমূল্যায়নকে দায়ী করেছে, এমনকি তাপপ্রবাহ ক্রেতাদের পকেট শিথিল করার পরিস্থিতি তৈরি করার আগেই।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
অন্তর্বর্তী সরকার কি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে, প্রশ্ন তারেক রহমানের
বক্তব্যের সময় মঞ্চে ঢলে পড়লেন জামায়াত আমির
জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে আমন্ত্রণ পায়নি বিএনপি