অনলাইন ডেস্ক :
সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে আবাহনী ও মোহামেডানের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করেছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। তবে মঙ্গলবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের নিয়ে গড়া প্রাইম ব্যাংক। এদিন আগে ব্যাটিং করে প্রাইম ব্যাংককে ১৮২ রানের লক্ষ্য দেয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। জবাবে তামিম ও মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩১.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে দলটি। ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে গাজীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় প্রাইম ব্যাংক।
প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের তোপে ৪১.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানে গুটিয়ে যায় তারা। সহজ এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ৫২ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে। ব্যক্তিগত ১৬ রানে শাহাদাত হোসেন দিপু সাজঘরে ফিরলে ওপেনিং জুটি ভাঙে দলটির। তবে ২ রানের মধ্যে তিন নম্বরে নামা জাকির হাসানকেও (০) হারায় দলটি। এরপর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে তামিম ৭২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে গেছেন। ব্যাট হাতে দলকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হন তামিম। তামিম জয় থেকে ৫৬ রান দূরে থাকতে মঈন খানের বলে মেহেদী মারুফকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। তার আগে ছুয়ে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। ৭৪ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তামিম।
এরপর মুশফিক ও মোহাম্মদ মিঠুনের ৬০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ১৮.৭ বল আগেই প্রাইম ব্যাংককে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছে। মুশফিক ৫৫ বলে ৫৯ এবং মিঠুন ২৯ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। গাজী গ্রুপের বোলারদের মধ্যে শেখ পারভেজ জীবন ও মঈন খান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রাইম ব্যাংকের পেসারদের তোপে পড়েন গাজীর ব্যাটাররা। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি দাঁড় করাতে পারেনি গাজী গ্রুপ।
মিডল অর্ডার ব্যাটার আবদুল গাফ্ফারের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস আসে। এ ছাড়া মঈন খান ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় গাজী ৪১.৩ ওভারে ১৮১ রান সংগ্রহ করে। প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে রেজাউর রহমান রাজা ও হাসান মাহমুদ প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। নাজমুল অপু ও সানজামুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন
নারী লীগের জন্য পুল ভাবনা, ক্লাবগুলোর দাবি মাসে দশ লাখ টাকা
পিঙ্ক টেস্টের নেপথ্য ঘটনা, যার সঙ্গে জড়িয়ে অজি কিংবদন্তীর স্ত্রী
শেষের বাঁশি কি শুনতে পাচ্ছেন রোহিত–কোহলি