সৈয়দ রায়হান বিপ্লব :
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের যেখানে জনসেবার ইতিহাস গড়া হয়েছিল মুসা আলী মন্ডলের হাত ধরে, সেই ঐতিহ্য আজও বহন করছেন তার যোগ্য উত্তরসরি ও বর্তমান সফল চেয়ারম্যান ফরহাদ মন্ডল। তার নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম যেমন হয়েছে আরও গতিশীল, তেমনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছেছে সরকারি সুবিধা। একজন তরুণ, মানবিক ও কর্মঠ্য চেয়ারম্যান হিসেবে ফরহাদ মন্ডলের নাম আজ এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
মিঠিপুর ইউনিয়নের তিন মেয়াদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান মুসা আলী মন্ডল তার সময়কালে যে জনকল্যাণমূলক কাজের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন—বিশেষ করে শিক্ষা বিস্তার ও অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে—তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেই ধারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য পুত্র, বর্তমান চেয়ারম্যান ফরহাদ মন্ডল।
গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ফরহাদ মন্ডল। তাঁর প্রতি এই গণভোট ছিল আসলে তার বাবার আমলে জনসেবার প্রতিদান এবং ব্যক্তিগতভাবে ফরহাদ মন্ডলের সদাচরণ, মানবিকতা ও নিষ্ঠার প্রতি জনগণের আস্থা।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি ইউনিয়নবাসীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । জন্ম নিবন্ধন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তদের ভাতা ও অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সহজেই সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
এছাড়াও, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে তিনি যুবকদের নিয়ে গঠন করেছেন নানামুখী সচেতনতামূলক কার্যক্রম। ইউনিয়ন পরিষদে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপস্থিত থেকে নিজে সেবা দিচ্ছেন; এমনকি সাপ্তাহিক হাটের দিনগুলোতেও মাদারগঞ্জ হাটে অস্থায়ী কার্যালয়ে বসে মানুষের সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান করছেন।
ছোটখাটো বিচার-সালিশ ইউনিয়নের ভেতরেই নিষ্পত্তি করে থানামুখী ঝামেলা থেকে এলাকাবাসীকে মুক্ত রাখার একটি প্রশংসনীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন। তার নেতৃত্বে গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি যুবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অত্যন্ত জনবান্ধব একটি পরিবারে জন্ম নেওয়ার সুবাদে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তাকে স্পর্শ করে। সরকারি অনুদানের বাইরে থেকেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপদের সময় তাঁকেই মানুষ প্রথম মনে করে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, সম্প্রতি কিছু স্বার্থান্বেষী মহল, যারা তাঁর নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকার তরুণ উদ্যক্তা ও সংবাদকর্মী রওশনপুর গ্রামের হানিফ মিয়া ও শিক্ষানুরাগী বিশিষ্ট সমাজসেবক আহসান হাবীব বলেন, “চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
ফরহাদ মন্ডল শুধু একজন চেয়ারম্যান নন, তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যিনি দেখিয়েছেন তরুণ নেতৃত্ব কেমন হতে পারে? তার কাজ, ব্যবহার, দায়িত্ববোধ এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা একজন জনপ্রতিনিধিকে যে কতটা জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে? তার জীবন্ত প্রমাণ তিনি।
তারুণ্যের শক্তিতে ও সততার আলোকে নেতৃত্বের এই ধারাটি একদিন হয়তো আরও বড় পরিসরে বিস্তৃত হবে। আজকের ফরহাদ মন্ডল আগামী দিনের অনুপ্রেরণা হোক বাংলাদেশের অন্যান্য তরুণ প্রতিনিধিদের জন্য।
সৈয়দ রায়হান বিপ্লব
পীরগঞ্জ, রংপুর
আরও পড়ুন
রংপুরে ৩৬ জুলাই গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে গঙ্গাচড়া দল চ্যাম্পিয়ন
হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা আজিজ খানের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত
গণঅভ্যুত্থানের শিক্ষাই হলো জাতির সাথে প্রতারণা না করা: আযম খান