November 20, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, November 20th, 2025, 6:33 pm

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ। ১৯৬৫ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তিনি।

তবে, তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা, পোস্টার ও ব্যানার লাগানো এবং আলোচনা সভা সহ কোনো ধরনের আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান বা উৎসব পালন না করতে, ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপি’র সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদেরকে দলটির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা এসব অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ভাবছেন তাদের অর্থ দান করার জন্য বলা হয়েছে। খবর বাসস-এর।

তারেক রহমানের শৈশব শুরু হয় একটি বিনয়ী পরিবেশে যেখানে সরল জীবনযাপন ছিল তার পরিবারের মূলমন্ত্র। ঢাকা সেনানিবাসের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল শাহীন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়।

তিনি তার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগে।

নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি, তারেক রহমান ধৈর্যের সঙ্গে সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, হবস, লক, রুশো, ভলতেয়ার, কার্ল মার্কসসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক চিন্তাবিদদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার গভীরে প্রবেশ করেছিলেন।

তারেক রহমান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এমন এক অত্যন্ত অস্থির পরিস্থিতিতে যখন তার মা বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের সময় রাষ্ট্র ও রাজনীতির তাত্ত্বিক ভিত্তি সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকায় তারেক রহমান সহজাতভাবে তার মা-এর পরিচালিত গণআন্দোলনের পরিবেশে রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন।

জন্মদিনে স্ত্রী ও কন্যার সাথে তারেক রহমান

তারেক রহমান ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলায় বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি দলটির বগুড়া জেলার সদস্য হন। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি তার দলের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেন।

দলের জাতীয় প্রচারণা কৌশল কমিটির সদস্য হিসেবে, তারেক রহমান তার মা-এর পাঁচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসনে নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয় করেছিলেন। পাঁচটি আসনেই বেগম খালেদা জিয়ার বিশাল জয় প্রমাণ করে যে তিনি (তারেক রহমান) একজন সূক্ষ্ম সংগঠক হিসেবে ভবিষ্যতে দলের নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করতে সক্ষম।

কিন্তু, পরবর্তীতে তিনি ওয়ান-ইলেভেন সরকারের নির্যাতনের শিকার হন। সেনা-সমর্থিত অবৈধ ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একাধিক নিষ্ঠুর এবং ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হন। কোনও প্রমাণ ছাড়াই তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়।

প্রায় ১৬ বছর ধরে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই একটি স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে দুঃশাসন এবং অপশাসনে আবদ্ধ থাকায় তারেক রহমান সম্পূর্ণ কাঠামোগত সংস্কারের ধারণাটি তুলে ধরেন।

ইতোমধ্যেই তিনি ব্যাপক জনসমর্থন অর্জন করেছেন এবং তার দেওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১-দফায় নির্বাহী, বিচার বিভাগ এবং আইনসভা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মহৎ প্রত্যাশা এবং ধারণায় পরিপূর্ণ তারেক রহমান এমন একটি জাতির স্বপ্ন দেখেন যেখানে প্রতিটি নাগরিক মর্যাদা ও সমৃদ্ধির সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করবেন। তিনি আরো স্বপ্ন দেখেন ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর তার মাতৃভূমিকে আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করবেন। যেখানে প্রতিটি নাগরিক তাদের অবিচ্ছেদ্য মৌলিক অধিকার ভোগ করবে।

তিনি ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে জলবায়ু-সহনশীল জাতিতেও পরিণত করার স্বপ্ন দেখেন। তিনি বিশ্ব উষ্ণায়ন বন্ধ করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিশাপ থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা করার স্বপ্ন দেখেন।

তারেক রহমান একটি যোগ্যতা-ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন এবং বিশ্ব মূলধারার সঙ্গে থাকতে চান।

তার মাতৃভূমিতে বিজয়ী প্রত্যাবর্তন এখন সময়ের ব্যাপার। সমগ্র জাতি তা শীঘ্রই দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এনএনবাংলা/