অনলাইন ডেস্ক :
প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে বন্যার পানিতে টানেলে ১৫টি গাড়ি আটকা পড়ে। আটকে পড়া গাড়ি থেকে উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত ১৩টি মৃতদেহ বের করেছে। প্রেসিডেন্ট ইউন ইউক্রেন সফরের শেষে সিউলে ফিরে একটি বৈঠক করেন এবং কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানা। তিনি বলেন, ‘আমার দুঃখ দমন করার কোন উপায় নেই। ভারি বৃষ্টিতে নিহতদের আত্মার জন্য প্রার্থনা করছি এবং শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সান্ত¡না জানাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সকলকে এই পরিস্থিতি গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে এবং সকল সাহায্য সংস্থানগুলোকে একত্র করতে হবে।’
দক্ষিণ কোরিয়া ১৯ জুলাই থেকে প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগই দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে। দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া প্রশাসন, ইতোমধ্যে আশেপাশের প্রদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ অংশেও ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। তারা জানায় মধ্য ও দক্ষিণ প্রদেশে আজ মঙ্গলবার রাতে অতিরিক্ত ১০০ মিমি থেকে ২০০ মিমি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব উত্তর গিয়াংসাং প্রদেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মোট ১৯ জন মারা গেছে। ভূমিধসের কারণে বাড়ির ভিতরের লোকজনকে আটকা পড়েছে। উত্তর গিয়ংসাং-এ আটজনসহ নয়জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ৩৪ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশজুড়ে বৃষ্টির কারণে প্রায় ১০ হাজার ৫৭০জন মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ২৮ হাজার ৬০৭টি পরিবার বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে।
—–আলজাজিরা
আরও পড়ুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৭৭
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
ডেঙ্গুতে এক দিনে মারা গেছেন আরও ৪ জন