নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী করতে নানা উদ্যোগ নিয়েও সফল হতে পারছে না দলটি। দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে। তবে এবার দলের হাইকমান্ডের কঠোর অবস্থানে নড়েচড়ে বসেছেন দায়িত্বশীল নেতারা। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশনায় তোড়জোড় শুরু করেছেন তারা। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে কাউন্সিলের ক্ষেত্রে প্রশাসনের বাধা দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি দলীয় কোন্দলে এবারও এ নির্দেশনার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান দলটির নেতাকর্মীরা।
তারা বলছেন, কমিটি গঠন নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা যত আন্তরিক কিংবা কঠোরই হন না কেন, প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের সৃষ্ট কোন্দলে সময়মতো কমিটি গঠন সম্ভব নাও হতে পারে। দ্রুত কমিটি করতে গেলে যোগ্য ও ত্যাগীদের বাদ পড়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, একদিকে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম কয়েক দফা স্থগিত রাখা হয়। অন্যদিকে সরকারের রোষানলেও দল পুনর্গঠনে গতি আসছে না। যদিও তৃণমূল নেতাকর্মীরা দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতিকেও দুষছেন।
এসব বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষ্য, সারাদেশে দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু একদিকে সরকার ও প্রশাসনের বাধা-বিপত্তি, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলার কারণে দেশের কোথাও বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা একত্র হতে পারছেন না। কিন্তু এসবের মধ্যেও আমাদের সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে বিএনপির ৮১টি সাংগঠনিক ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা মহানগর কমিটি প্রস্তাবিত আকারে রয়েছে। অন্যান্য কমিটির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ৪২টি, আহ্বায়ক কমিটি ৩৭টি। এসবের মধ্যে ২০১৪ ও ২০১৬ সালের ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি এবং ২০০৯ সালের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও রয়েছে। ফরিদপুর জেলায় প্রায় তিন বছর ধরে কোনো কমিটিই নেই। কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে মাদারীপুর জেলার। কমিটির মধ্যে মেয়াদ রয়েছে শুধু মানিকগঞ্জ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির।
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেক জেলা ও মহানগর কমিটির মেয়াদ দুই বছর।
মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে কাউন্সিলে নতুন কমিটি গঠন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যর্থ হলে যুক্তিসংগত কারণ দেখিয়ে আরও তিন মাস সময় নেওয়া যায়। কিন্তু এই তিন মাসেও কমিটি গঠনে ব্যর্থ হলে পূর্ববর্তী কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। এরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের শর্তে তিন মাসের জন্য আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেবে কেন্দ্র। যদি আহ্বায়ক কমিটিও ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে কেন্দ্র কমিটি গঠন করে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে দলের গঠনতন্ত্রে। যদিও কমিটি গঠনে এসব নিয়মের কোনোটিই মানা হচ্ছে না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে দলকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের সব বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ধারাবাহিক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। কাউন্সিল প্রক্রিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে সারাদেশে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন। ভেঙে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জেলা কমিটি। তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও দু-একটি জেলা বাদে আর কেউ নতুন কমিটি গঠন করতে পারেনি এখনও। আবার যেসব জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়নি, সেসব জেলার পুনর্গঠনও থমকে রয়েছে। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে এসব জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনের কড়া বার্তা রয়েছে তারেক রহমানের। এ প্রক্রিয়ায় খুব দ্রুত বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং মহানগর কমিটি গঠনের কার্যক্রম শেষ হবে বলে জানা গেছে। এতে বরিশাল উত্তরে মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, বরিশাল দক্ষিণে এবায়দুল হক চান এবং মহানগরে মজিবর রহমান সরোয়ার আসছেন। তাদের সঙ্গে তরুণ নেতাদের সদস্য সচিব করা হবে বলে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপির দপ্তর সূত্র জানায়, সারাদেশে বিএনপির ১০টি বিভাগীয় সাংগঠনিক এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সাংগঠনিক অবস্থায় রয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল কমিটিগুলোর দিকে বিশেষ নজর নেই বিএনপি হাইকমান্ডের। অনেক জেলা কমিটি এতই ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে, সেখানে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে।
এমন জেলার মধ্যে অন্যতম বান্দরবান। ২০১৭ সালের ৩ মার্চ ২১ সদস্যবিশিষ্ট বিতর্কিত বান্দরবান জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণার পরপরই ১৩ জন নেতা পদত্যাগ করেন, তিন নেতা রাগে-ক্ষোভে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ওই কমিটি গঠনে এখনও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা কোনো উদ্যোগ নেননি। অভিযোগ রয়েছে, এই বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের একক হস্তক্ষেপে বান্দরবান জেলা কমিটি পুনর্গঠনের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
সারাদেশে বিভাগ অনুযায়ী বিএনপির সাংগঠনিক চিত্র :
ঢাকা ও ফরিদপুর বিভাগ: এ দুই বিভাগে বিএনপির সাংগঠনিক ইউনিট ১৭টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির মেয়াদ রয়েছে। এখানে পূর্ণাঙ্গ ও আহ্বায়ক কমিটির একটিরও মেয়াদ নেই। এর মধ্যে গত বছরের ২০ মার্চ মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়। ঢাকা জেলা কমিটি নিয়ে বিব্রত দলের হাইকমান্ড। এক পক্ষীয় কমিটি নিয়ে হতাশ জেলার নেতাকর্মীরাও।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা: এ বিভাগে ১৪টি সাংগঠনিক ইউনিট কমিটি রয়েছে। এখানে লক্ষ্মীপুর জেলার কমিটির মেয়াদ রয়েছে। এ ছাড়া সব জেলা কমিটিই মেয়াদহীন।
রাজশাহী ও খুলনা: রাজশাহী বিভাগে ৯টি সাংগঠনিক ইউনিটের সবই মেয়াদোত্তীর্ণ। খুলনা বিভাগের ১১টি সাংগঠনিক ইউনিটের মেয়াদ নেই একটিরও। এ বিভাগের খুলনা মহানগরের কমিটির বয়স প্রায় ১১ বছর। ২০১০ সালে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সভাপতি ও মনিরুজ্জামান মনিকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বরিশাল: আটটি সাংগঠনিক ইউনিট কমিটির মেয়াদ নেই একটিরও। ভোলা জেলার কমিটি সর্বশেষ কবে হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্যও নেই বিএনপির দপ্তরেও। এ বিভাগের সবচেয়ে পুরোনো কমিটি পিরোজপুরে। ২০১২ সালে গাজী নুরুজ্জামান বাবুলকে সভাপতি ও আলমগীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
রংপুর ও সিলেট: রংপুর বিভাগের ১০টি সংগঠনিক ইউনিট। সিলেট বিভাগে পাঁচটি সাংগঠনিক ইউনিট। দুই বিভাগের একটি কমিটিরও মেয়াদ নেই।
ময়মনসিংহ: ছয়টি সাংগঠনিক ইউনিট কমিটির একটিরও মেয়াদ নেই।
বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন বলেন, আমরা আশা করছি, দ্রুত সাংগঠনিক কার্যক্রম শেষ করতে পারব। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। যোগ্য ও ত্যাগীদের দিয়েই এসব কমিটি গঠন করা হবে।
এদিকে
তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক তৎপরতায় গতি ফিরিয়ে আনতে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগও। পরিকল্পনা করা হচ্ছে আগামী নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দলের বর্ধিত সভা আয়োজনের। সারাদেশে সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে দলের বিভিন্ন শাখার দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসন করে দ্রুত মেয়াদোত্তীর্ণ তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন সম্পন্ন করা, চলমান সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম জোরদার এবং আগামী বছর জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানসহ দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার নানা পরিকল্পনা গ্রহণই এই বর্ধিত সভা আয়োজনের উদ্দেশ্য।
দলীয় সূত্র জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে রোববার যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। সম্মেলনে যোগ দিয়ে লন্ডন হয়ে ১৫ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার। দলীয় প্রধানের দেশে ফেরার পর ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক। এই বৈঠকেই দলের বর্ধিত সভার তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। আর বর্ধিত সভায় সারাদেশের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ তৃণমূল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে দল গোছানোর বিভিন্ন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক হবে। এর পরপরই দলের বর্ধিত সভা ডাকা হতে পারে। যেখানে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এবার প্রায় সাড়ে চার বছর পর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দলটির সর্বশেষ বর্ধিত সভা হয়েছিল ২০১৭ সালের ২০ মে। ওই সভায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানোর নানা পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে নানা দিকনির্দেশনাও দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। তারুণ্যনির্ভর নতুন এ কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে দল গোছানোর নানা পরিকল্পনা নেওয়া হলেও নানা কারণে সেগুলোর বাস্তবায়ন করা যায়নি।
নেতারা বলছেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের পর একটি বর্ধিত সভা করার কথা। তবে জাতীয় সম্মেলনের মাত্র তিন মাসের মাথায় দেশের করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ায় অন্য সব ক্ষেত্রের মতো রাজনৈতিক অঙ্গনেও স্থবিরতা নেমে আসে। এই কারণে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি এতদিন বর্ধিত সভা করতে পারেনি। করোনার সংক্রমণ অনেকটা কমে আসায় দ্রুতই বর্ধিত সভার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, করোনার কারণে দেড় বছর স্থগিত থাকার পর আবারও জেলা সম্মেলন কার্যক্রম শুরু হয়েছে বেশ জোরেশোরেই। সর্বশেষ ১৬ অক্টোবর রাজবাড়ী জেলা সম্মেলন হয়েছে। নভেম্বরে আরও কয়েকটি জেলা সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।
এর পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন অথবা নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগও নেওয়া হবে দলের পক্ষ থেকে। আর যেসব সংগঠনের সম্মেলন হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি, সেগুলোতেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে মাঠে নামানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের কয়েকজন নেতা।
অবশ্য এরইমধ্যে দেশজুড়ে ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু হওয়ায় ব্যস্ত সময় কাটছে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। এই ব্যস্ততার মধ্যেও দল গোছানোর নানা কার্যক্রম গ্রহণ এবং বাস্তবায়নও তাদের পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
সব মিলিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই দলকে শক্তিশালী করার সব পরিকল্পনাকে গুছিয়ে আনতে চায় আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রস্তুতি এরইমধ্যে শুরু করেছেন তারা। আগামী দিনে এই প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও জোরদার করা হবে।
দলের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, করোনার কারণে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা স্থবির হলেও, এখন তাতে নতুন করে গতি আসছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন সারাদেশের নেতাকর্মীরা। সাংগঠনিক সফর, দলের অন্তর্কোন্দল ও দ্বন্দ্ব নিরসন, তৃণমূল সম্মেলন ও নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং নতুন সদস্য সংগ্রহসহ বিভিন্ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতেও তৎপর রয়েছেন তারা। জনগণের সমর্থনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টাও চলমান থাকবে বলে জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
আরও পড়ুন
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খাসি-মুরগি-মাছ
শুধু সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যও প্রয়োজন ঐক্য
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়