ফেনী প্রতিনিধি.
ফেনীর দাগনভূঞায় আ’লীগ নেতার মারধরে আহত এক বিএনপি কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত ব্যক্তির নাম বেলাল হোসেন (৫০)। সে উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের খলিল ভূঞা বাড়ীর আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে নিহতের বাড়ীর দরজায়।
নিহতের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার জানান, আমার বাবা রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে আমাদের বাড়ীর (খলিল ভূঞা বাড়ী) সামনের রাস্তায় দাঁড়ানো ছিলো তখন প্রতাপপুর গ্রামের মোমিন ব্যাপারি বাড়ীর যুবলীগ নেতা শামসুদ্দিন (২২), পিতা শাহ আলম, বিপ্লব (২০), পিতা : মজিবুল হক ও মজিবুল হক (৫০) এসে আমার বাবাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পাশের জমিতে ফেলে দেয়। পরে এলাকার লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে তার পরিবারকে খবর দিলে তারা তাকে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সেখান থেকে রিলিজ নিয়ে দাগনভূঞার একটি প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০ টার দিকে ওই প্রাইভেট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন ভূঞা হুদন জানান, নিহত ব্যক্তি ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সে বিএনপির ত্যাগী কর্মী। তাকে যারা মারধর করেছে সেই শামসুদ্দিন যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার দাবী করছি।
দাগনভূঞা পপুলার হসপিটালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন মাহাদী জানান, নিহত ব্যক্তিকে যে মারধর করা হয়েছে তা গোপন রেখেই ওই রোগী হসপিটালে ভর্তি হয়। পরে আমি পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখি তার পেটে গ্যাসের সমস্যা ও ফুসফুসে ইনফেকশন ছিল। আমি তার মুখে খাবার বন্ধ করে নল দিয়ে খাবার দিয়ে থাকি। বিকলে রোগীর মেয়ে আমাকে জানায় যে, তার বাবাকে মারধর করা হয়েছে সে জন্য তার পুরো শরীরে ব্যাথা। পরে আমি তাকে হালকা ব্যথার ওষুধ দিয়ে থাকি।
দাগনভূঞা থানার ওসি লুৎফুর রহমান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের পর জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল প্রেরণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন
শেরপুরে মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী গ্রেপ্তার
দীর্ঘ ৫৭ বছর পর কাঙ্ক্ষিত প্লান্টের কাজ শুরু হলেও মেডিকেল মোড় এলাকাবাসীর বিরোধীতার ফলে বন্ধ হয়ে গেল সকল কার্যক্রম
পাবনায় নসিমন-সিএনজি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত