কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান ওসি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ‘আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা প্রদীপ কুমার দাশের জামিন আবেদন করেছিলেন। আমরা এর বিরোধিতা করেছি। আদালত শুনানি শেষে ওসি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর করেছেন।’
তিনি আরও জানান, তারা ওসি প্রদীপের স্ত্রীর বিরুদ্ধে গেজেট প্রকাশের আবেদন করেছিলেন। আদালত আজ আদেশ দেননি। এই বিষয়ে পরে আদালত আদেশ দেবেন বলেও জানান দুদকের এই আজনজীবী।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। গত ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। তবে ওসি প্রদীপ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তার স্ত্রী চুমকি পলাতক রয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চুমকির চার কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বাকি সম্পদ অর্থাৎ দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
এর মধ্যে নগরীর পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি স্বর্ণ, একটি কার ও মাইক্রোবাস, কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাবের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। প্রদীপের ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে স্ত্রী চুমকি এসব সম্পদ অর্জন করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া চুমকি নিজেকে মাছ ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনো অস্তিত্ব পায়নি দুদক।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ। এ ঘটনায় নিহতের বোনের দায়ের করা মামলায় ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্যে বিচার শুরু হয়েছে। এ মামলার আসামি প্রদীপসহ ১৫ জন।
–ইউএনবি
আরও পড়ুন
জামায়াতে আমিরের সঙ্গে একান্ত বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
চট্টগ্রাম আদালতের গায়েব হওয়া ১৯১১ নথির খোঁজ মেলেনি
‘এইচএমপিভি’, নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে যেভাবে