December 20, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, November 15th, 2025, 8:06 pm

দেশের ১৫০টি উপজেলার ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থী পাবে স্কুল ফিডিং শিশুকে পড়াশোনায় আগ্রহী করতে পারলে, সে নিজের উদ্যোগে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে : নাটোরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নাটোর প্রতিনিধি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনা উদ্দেশ্য সব বই শেখা নয়। উদ্দেশ্য হচ্ছে, একজন শিশু যেন তার মাতৃভাষায় শিখতে পারে, মাতৃভাষায় পড়ে বুঝতে পারে এবং মাতৃভাষায় যেন তার মনের ভাবটি প্রকাশ করতে পারে। শিশুরা যেন প্রাথমিকে গণিতের সাধারণ নিয়ম যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ বুঝতে পারে। সে সাবলীল ভাবে লিখতে পারে, বুঝতে পারে। শিশুকে পড়াশোনায় আগ্রহী করতে পারলে, সে নিজের উদ্যোগে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমাদের সন্তানদের মুখস্থ বিদ্যা নয়, প্রকৃত শিক্ষায় গড়তে হবে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে এক শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তবর্ত্তীকালীন সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সন্তানরা মুখস্থ করে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাচ্ছে কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় বেশি ভাগ ফেল করছে। এ কাগজের বৃত্তির কোন দাম নেই। আমাদের প্রকৃত শিক্ষায় শিখতে হবে। প্রাইমারিতে একজন শিশু সাবলীল ভাবে মাতৃভাষায় সঠিক শিক্ষা শিখতে পারে। সে তার মনের ভাবগুলো লিখতে পারবে। শিশুরা যদি প্রাথমিকে এসব অর্জন করতে পারে, তাহলে নিশ্চিত ভাবে মাধ্যমিকে ভাল করবে, উচ্চ শিক্ষায় ভাল। জীবনে একজন সফল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার শিক্ষক নিয়োগ, ভবন নিমার্ণসহ সবকিছু করে দেয়। শুধু আপনাদের দেখভাল করতে হবে। এটা আপনাদের সম্পদ, আপনাদের জিনিস। বিদ্যালয় কেমন চলছে, বিদ্যালয়ের সম্পদ কেউ দখল করছে জি না সব আপনাদের দায়িত্ব। শিক্ষদের সঙ্গে আপনাদের ভাল সম্পক থাকবে, তাদের আপনারা সহযোগিতা করবেন। আপনার বাচ্চারা নিয়মিত স্কুলে আসছে কি না, তারা নিয়মিত বাসায় পড়ছে কি না তা মনিটরিং করা। আমরা সকলে যৌথ চেষ্টা করি, তাহলে প্রাথমিক শিক্ষার মানের উন্নতি ঘটবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান প্রমুখ।

‘ কর্মসূচি’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দ্যিালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা এবং পুষ্টি উন্নয়নে সারা দেশের নির্বাচিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম নাটোর থেকে শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের উদেশ্য হলো, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও গুণগত শিক্ষা অর্জনে সহায়তা এবং পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে তাদের পুষ্টিগত অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা।

যাতে বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতির হার শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হয় এবং ঝরে পড়া কমে আসে।

উল্লেখ্য ২০২৭ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্প মেয়াদকালে দেশের নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ স্কুল কর্ম দিবসে ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমি ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ তথা পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হবে।