দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ওবায়দুল হাসান। মঙ্গলবাল (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা, সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকিও শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি অবসরে যাওয়ায় সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ওবায়দুল হাসান ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
তিনি ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছায়াশী গ্রামে ড. আখলাকুল হোসেন আহমেদ ও বেগম হোসনে আরা হোসেনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
হাসানকে ২৫ মার্চ, ২০১২ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ১১টি রায় ঘোষণা করেন।
তার স্ত্রী নাফিসা বানু বর্তমানে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (অর্থ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দম্পতির ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ শাফকাত হাসান।
ওবায়দুল হাসানের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসান নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওবায়দুল হাসান প্রাথমিকভাবে আইন বিভাগে অধ্যয়নের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা জেলা আদালতে একজন অনুশীলনকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ১৯৮৮ সালে হাইকোর্টে নথিভুক্ত হন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
একটা ধাক্কায় কোহলির ৪ লাখ টাকা জরিমানা
মানুষের মস্তিষ্ক কতটা দ্রুত কাজ করে
অগ্নিকান্ডে মিঠাপুকুরের নয়ন একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার