অনলাইন ডেস্ক:
মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। অনুরাগী-বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিকমাধ্যমে নিজের স্বাক্ষর করা সেই অঙ্গীকারপত্রের ছবিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। এবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন এই শিল্পী। জানালেন, দেহদানের ইচ্ছে প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
আজ বুধবার (৫ মার্চ) ফেসবুকের এক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘রমজান মোবারক! সকলকে জানাতে চাই, কিছুকাল আগে ফেসবুকেই ঘোষণা করেছিলাম— আমি আমার দেহদান করেছি, কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্য আমি চাই না। অনেক ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। দেহদানের ইচ্ছে প্রত্যাহার করছি আমি। আমার দেহ আমি দান করব না।’
সুমনের ইচ্ছে, ইসলামী রীতিতে যেন কলকাতার মাটিতে দাফন করা হয় তাকে। তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি চাই আমায় এই কলকাতারই মাটিতে, সম্ভব হলে গোবরায়, ইসলামী রীতিতে কবর দেওয়া হোক। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার কতিপয় স্বজনকে এটা জানিয়ে দিলাম।’
সীমান্তে ফেলানী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে যা বললেন কবীর সুমনসীমান্তে ফেলানী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে যা বললেন কবীর সুমন সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘আমার এই ঘোষণার বিষয়ে কারোর কোনো মত বা মন্তব্য চাই না। সকলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।’
১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের মাধ্যমে বাংলা গানের ভুবন জয় করে নেন কবীর সুমন। তখন তার নাম ছিল সুমন চট্টোপাধ্যায়। জীবনঘনিষ্ঠ লিরিক আর গায়কীতে নতুন ধারা চালু হয় তার হাত ধরে। এরপর শ্রোতাদের তিনি উপহার দিয়েছেন বহু কালজয়ী গান। বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করতে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হন, নাম বদলে তিনি হয়ে যান কবীর সুমন। পরে অবশ্য তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলা খেয়াল চর্চা করছেন কবীর সুমন।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশকে ‘প্রতিশোধের চক্র’ থেকে বের হওয়ার আহ্বান তুর্কের
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
৪০ বছর বঞ্চিত ইবতেদায়ি শিক্ষকরা, অবশেষে খুলছে ভাগ্য