বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ চালানোর মতো সক্ষমতা পোস্ট অফিসের নেই।
নগদে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে সপ্তাহখানেকের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে আরও সক্ষম ও স্থিতিশীল হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের মূল লক্ষ্য।
আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর মনে করেন, উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে নগদের দায়িত্ব নিতে হবে। ডাক অধিদপ্তর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রাখতে পারে।
‘নগদকে দ্রুত আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করতে হবে,’ উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘একটি বড় টেলিকম প্রতিষ্ঠান নগদের দায়িত্ব নিতে পারে। কারণ তাদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত জ্ঞান আছে। একটি বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানও এটি নিতে পারে।’
নগদ’র অনিয়ম নিয়ে গভর্নর বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানটির সমাজকল্যাণের জন্য বরাদ্দ এক হাজার ৬০০ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে।’
‘গরিব ও অভাবী মানুষদের মধ্যে টাকা বিতরণ না করে তারা মনগড়া সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে তা আত্মসাৎ করেছে। এটা প্রমাণিত।’
আহসান এইচ মনসুরের ভাষ্য,‘নগদ’ অবৈধভাবে ই-মানি তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৬৩০ কোটি টাকার অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি করেছে। এর মানে তারা প্রকৃত তহবিল গ্রহণ করেনি। কিন্তু, এখনো তাদের হাতে টাকা আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান—ই-মানি ব্যবহার করে তারা বেতন, বোনাস, যাতায়াতসহ অন্যান্য পরিচালন খরচ পরিশোধ করেছেন।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
জুলাই সনদ ও সংস্কার হলে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এনসিপি: নাহিদ
আমাদের সময় খুব বেশি দিন নাই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে ভারতের বড় শহরগুলোর টেক্সটাইল ও পোশাক কারখানা বন্ধ