অনলাইন ডেস্ক :
মোবাইল ফোনভিত্তিক আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি ‘নগদের’ ৪৭ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৩ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ই-কমার্স কোম্পানি সিরাজগঞ্জ শপ ডটকমের মালিক জুয়েল রানার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে। রাজধানীর বনানী থানায় ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেন নগদের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রাহকদের কাছ থেকে পণ্যের দাম পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে নগদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ২০২১ সালের ১৪ মার্চ চুক্তিবদ্ধ হয় সিরাজগঞ্জ শপ ডটকম। ৩০ ও ৩১ অগাস্টে নগদের সিরাজগঞ্জ শপ ডটকমের কিছু একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন ধরা পড়ে। পরে হিসেব করে দেখা যায়, কয়েকজন গ্রাহকের জন্য রিফান্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে মোট ৪৭ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৩ টাকা নেওয়া হয়। তৌহিদুল বলেন, এই লেনদেনগুলোর নগদের স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম কতগুলো বিষয়ে সতর্কবার্তা দেয়। তা হল- একই সাথে অস্বাভাবিক মাত্রার রিফান্ড রিকোয়েস্ট; একই পরিমাণ টাকার জন্য একই একাউন্টে বার বার রিকোয়েস্ট; সফলভাবে পণ্য সরবরাহ হয়েছে- এমন অর্ডারের বিপরীতে রিফান্ড রিকোয়েস্ট; অর্ডার করা পণ্যের দামের সঙ্গে রিফান্ড রিকোয়েস্টে দেওয়া টাকার পরিমাণের গরমিল; এবং গভীর রাতে রিফান্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। নগদের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সজল, ঘটনার পরদিন ১ সেপ্টেম্বর জুয়েল রানা নগদ অফিসে এসে রিফান্ড রিকোয়েস্টগুলো ‘ভুলবশত’ হয়েছে জানিয়ে সমপরিমাণ টাকার চেক দেয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু সেই চেক ব্যাংকে দিয়ে টাকা তোলা যায়নি। কিন্তু তারপর থেকে জুয়েল রানার সঙ্গে নগদ আর যোগাযোগ করতে পারেনি। এখানে নগদ কর্তৃপক্ষের কোন অবহেলা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে জাহিদুল বলেন, সিরাজগঞ্জ শপ ডটকম উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে কিছু নম্বরে টাকাগুলো নিয়েছে। নগদ কর্তৃপক্ষ আটটি নম্বর শনাক্ত করেছে। তবে আরও কিছু নম্বরের অ্যাকাউন্টেও যেতে পারে। তবে আটটি নম্বর নিশ্চিত হওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ শপ ডটকমের মালিক জুয়েল রানার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার অগ্রগতি জানতে চাইলে গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এজাহারভুক্ত আসামিকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই, লেনদেন নামলো ৩০০ কোটিতে
কাঁদলেন গুলশানের সাবেক ওসি, বললেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন
ডেঙ্গুতে হাজারের বেশি আক্রান্ত, একজনের মৃত্যু