February 23, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, February 22nd, 2025, 12:48 pm

নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’

নাহিদ ইসলামফাইল ছবি:

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ছয়টি পদে কারা আসছেন, তা অনেকটাই চূড়ান্ত হয়েছে। দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে ‘সমঝোতার’ ভিত্তিতে নতুন দুটি পদও সৃষ্টি করা হচ্ছে। আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র এবং মুখ্য সংগঠকের পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নামে দুটি পদ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সামনের সারিতে থাকা ছাত্রনেতারাই নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদগুলোতে আসছেন। এই দলের আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলামের মনোনয়ন নিয়ে শুরু থেকেই জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কারও কোনো আপত্তি ছিল না। সদস্যসচিব হিসেবে কে আসবেন, মূলত তা নিয়ে মতবিরোধ ছিল। সমঝোতার ভিত্তিতে এই পদে আখতার হোসেনের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত। তিনি এখন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব।

নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে যেকোনো সময় অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করতে পারেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। দলের মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদে দেখা যেতে পারে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে।
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকা ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আলী আহসান জোনায়েদের (শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি) নাম বিবেচনায় আছে। আর দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে আসতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। নতুন দলে যুক্ত হতে যাওয়া জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শীর্ষ ছয়টি পদের বাইরে নতুন দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা ও আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক রায়, মাহবুব আলম ও অলিক মৃ। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে। নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। তবে ওই দিনই অনেক বড় পরিসরে জমায়েত করার পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত নেই।

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের আয়োজন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতার সমন্বয়ে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বুধবার বিকেল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সভা হয়। সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান সামনে রেখে বিভিন্ন দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনসহ বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য কয়েকটি উপকমিটি করা হয় সেই সভায়। তবে গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত নতুন দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি।

সমঝোতা
তরুণদের নিয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই কমিটিতে বিভিন্ন মতাদর্শের সাবেক ছাত্রনেতারা রয়েছেন। এর মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের একটি অংশ জাতীয় নাগরিক কমিটিতে বেশ সক্রিয়। নতুন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে (সদস্যসচিব) ‘পছন্দের নেতাকে’ বসাতে চাইছিল তারা। দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শিবিরের সাবেক নেতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সহমুখপাত্র আরেফীন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ বিষয়টি সামনে আনেন। এ নিয়ে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। নতুন দলে সদস্যসচিব পদ নিয়ে ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের তৎপরতার বিষয়টি জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে।

মতবিরোধের একপর্যায়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নিজেদের অবদানের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরতে থাকেন শিবিরের সাবেক নেতারা। তবে অবদান তুলে ধরতে গিয়ে কেউ যাতে গণ-অভ্যুত্থানের ‘ইতিহাস বিকৃত’ না করেন, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমন আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একই ধরনের অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদও।

নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল একজন নেতা গতকাল বলেন, নাগরিক কমিটি সবাইকে নিয়েই পথ চলতে চায়। সেই জায়গা থেকে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদগুলো নিয়ে একধরনের বোঝাপড়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আলী আহসান জোনায়েদের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে যিনি ফেসবুকে বিতর্কের সূত্রপাত করেছেন, তাঁকে আপাতত নতুন দলে কোনো পদে রাখা হচ্ছে না।

সমঝোতা
তরুণদের নিয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই কমিটিতে বিভিন্ন মতাদর্শের সাবেক ছাত্রনেতারা রয়েছেন। এর মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের একটি অংশ জাতীয় নাগরিক কমিটিতে বেশ সক্রিয়। নতুন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে (সদস্যসচিব) ‘পছন্দের নেতাকে’ বসাতে চাইছিল তারা। দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শিবিরের সাবেক নেতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সহমুখপাত্র আরেফীন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ বিষয়টি সামনে আনেন। এ নিয়ে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। নতুন দলে সদস্যসচিব পদ নিয়ে ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের তৎপরতার বিষয়টি জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মতবিরোধের একপর্যায়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নিজেদের অবদানের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরতে থাকেন শিবিরের সাবেক নেতারা। তবে অবদান তুলে ধরতে গিয়ে কেউ যাতে গণ-অভ্যুত্থানের ‘ইতিহাস বিকৃত’ না করেন, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমন আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একই ধরনের অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদও।

নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল একজন নেতা গতকাল বলেন, নাগরিক কমিটি সবাইকে নিয়েই পথ চলতে চায়। সেই জায়গা থেকে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদগুলো নিয়ে একধরনের বোঝাপড়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আলী আহসান জোনায়েদের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে যিনি ফেসবুকে বিতর্কের সূত্রপাত করেছেন, তাঁকে আপাতত নতুন দলে কোনো পদে রাখা হচ্ছে না।

নতুন ছাত্রসংগঠন
নতুন দলের পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন একটি ছাত্রসংগঠনেরও আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। নতুন এই সংগঠনকে কেউ কেউ জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হিসেবে দেখছেন। কিন্তু এই ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত সমন্বয়কেরা বলছেন, দলীয় লেজুড়বৃত্তির বাইরে তাঁরা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করবেন।

নতুন এই ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুটি পদে আসতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক দুই সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার ও জাহিদ আহসান। আর সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে আসতে পারেন সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের ও সানজানা আফিফা অদিতি।

নতুন এই সংগঠন সম্পর্কে ধারণা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে ১৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা অন্তত সাতজন সমন্বয়ক। তাঁরা জানান, এই ছাত্রসংগঠনের নীতি হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’ ও ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’। ছাত্র-নাগরিকের স্বার্থ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে তারা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে এই ছাত্রসংগঠনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।

নতুন ছাত্রসংগঠন নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ ও মধ্যম পর্যায়ের পাঁচ নেতার সঙ্গে গতকাল কথা বলে। তাঁরা জানান, নতুন ছাত্রসংগঠনের যাত্রা শুরু হতে পারে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে। যেকোনো দিন এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। শুরুতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি ঘোষণা করা হবে। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি পরে করা হবে। সংগঠনটির নামের বিষয়ে একাধিক প্রস্তাব আছে; তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় দুজন নেতা বলেন, নতুন ছাত্রসংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব পদে জাহিদ আহসানের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত। এর পরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী ও রিফাত রশীদ। এই চারজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। তাঁদের মধ্যে জাহিদ আহসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলের সম্পাদক। আর রিফাত রশীদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য।

নতুন ছাত্রসংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আবদুল কাদেরের নাম প্রায় চূড়ান্ত বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা। গণ-অভ্যুত্থানের সময় ৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে আলোচনায় আসেন কাদের। কাদেরের সঙ্গে নতুন ছাত্রসংগঠনের সদস্যসচিব হতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীল একজন নেতা জানান, আগামী এপ্রিল-মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হতে পারে— এমন আলোচনা আছে। যদি নির্বাচন হয়, তাহলে আবদুল কাদের ও আবু বাকেরকে যথাক্রমে ভিপি ও জিএস প্রার্থী করে প্যানেল ঘোষণা করবে নতুন ছাত্রসংগঠন।

আবু বাকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। কাদের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শীর্ষ পদের আলোচনায় থাকা জাহিদ আহসান একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এবং সানজানা আফিফা অদিতি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ ও রিফাত রশীদ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কাদের ও বাকেরের সহযোগীদের প্রায় সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যক্রমে যুক্ত হলেও তাঁরা দুজন সরাসরি কোনো সাংগঠনিক কাঠামোতে যুক্ত হননি। তবে শিক্ষার্থীদের আবাসনসংকট, স্মার্ট পরিচয়পত্রের ফি কমানোসহ ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক বিভিন্ন দাবিভিত্তিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। ডাকসু নির্বাচন মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ততা রয়েছে— এমন কর্মসূচিতে তাঁরা অংশ নিতেন। সাবেক সমন্বয়কদের নেতৃত্বে নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল ও ডাকসু নির্বাচনের সম্পর্ক রয়েছে—এমন আলোচনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আছে।

নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশের বিষয়ে রিফাত রশীদ গতকাল বিকেলে বলেন, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগে তাঁরা বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছেন। নতুন ছাত্রসংগঠনের বিষয়ে ঢাকার সাতটি বড় সরকারি কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই নতুন এই ছাত্রসংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে।