অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’ নামে দুটি নতুন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। নেক্সট টিভির অনুমোদন পেয়েছেন মো. আরিফুর রহমান তুহিন এবং লাইভ টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন আরিফুর রহমান নামে আরেক ব্যক্তি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, আগের সরকারের মতোই প্রচলিত প্রক্রিয়ায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে টেলিভিশন লাইসেন্সের জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের কাজ এখনও প্রক্রিয়াধীন।
নেক্সট টিভির লাইসেন্স পাওয়া মো. আরিফুর রহমান তুহিন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক। তিনি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে যুক্ত হন। এর আগে তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। বর্তমানে তিনি ‘৩৬ মিডিয়া লিমিটেড’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যার ঠিকানা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার করাতিটোলা লেন।
সূত্র জানায়, নেক্সট টিভির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন বগুড়ার বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম হাফিজুর রহমানের ছেলে এ কে এম গোলাম হাসনাইন, যিনি বর্তমানে সৌদি আরব প্রবাসী এবং সৌদি আরব (পূর্বাঞ্চল) বিএনপির সভাপতি। নেক্সট টিভির অনুমোদন দেওয়া হয় গত ২৪ জুন।
অন্যদিকে, লাইভ টিভির অনুমোদন পেয়েছে ১৪ জুলাই। চ্যানেলটির মালিক আরিফুর রহমান ‘মিনার্ভা মিডিয়া লিমিটেড’-এর অধীনে এটি পরিচালনা করবেন। প্রতিষ্ঠানটির অফিস গুলশান-১ এর ১৪৩ নম্বর সড়কে অবস্থিত। আরিফুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন প্রায় ছয় বছর আগে। ছাত্রজীবনে তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ছিলেন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ছিলেন, যদিও এনসিপিতে যোগ দেননি।
লাইভ টিভির বিষয়ে আরিফুর রহমান জানান, প্রশাসনিক ও কাগজপত্র সংক্রান্ত কাজ শেষের পথে। তিনি আশা করছেন, আগামী বছর চ্যানেলটি সম্প্রচারে যেতে পারবে। বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে কয়েকজন বিনিয়োগকারী রয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, লাইভ টিভির গোছগাছ ও পরিকল্পনা করছেন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের শীর্ষ পর্যায়ের পদে থাকা একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক।
দুটি টেলিভিশনের পাশাপাশি, সম্প্রতি ‘চেঞ্জ টিভি প্রেস’ নামে একটি ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশনের (আইপি টিভি) অনুমোদনও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন।
বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে ৩৬টি পূর্ণ সম্প্রচারে রয়েছে, ১৪টি এখনো সম্প্রচারের অপেক্ষায়। এছাড়া অনুমোদিত আইপি টিভির সংখ্যা ১৫টি। আরও কয়েকটি নতুন টেলিভিশনের আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
নতুন বাংলাদেশ গড়তে কারও দাসত্ব নয়, স্বনির্ভর হতে হবে: ড. ইউনূস
পাকিস্তানে সেনা কনভয়ে হামলা, নিহত ১১
শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা