ইসরায়েলের বিরোধী দলগুলো নতুন সরকার গঠনে চুক্তিতে পৌঁছেছে। আর এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসান হতে যাচ্ছে।
মধ্যপন্থী ইয়াস আতিদ পার্টির নেতা ইয়ার লাপিদ আট দলের জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে এখন বিরোধীদের পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে জয়লাভ করতে হবে। খবর বিবিসির
চুক্তির শর্তানুসারে নতুন সরকারে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন ডানপন্থী দল ইয়ামিনা পার্টির প্রধান নাফতালি বেনেত। পরে লাপিদের কাছে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন তিনি।
এক বিবৃতিতে লাপিড বলেন, জোট গঠনের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিনকে জানানো হয়েছে। আমি আশা করছি, এই সরকার ইসরাইলের সব নাগরিকের জন্য কাজ করবে। যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন এবং যারা দেননি সবার জন্য কাজ করবে এ সরকার।
‘এ জোট বিরোধীদের সম্মান করবে এবং ইসরাইলের সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও সংযুক্ত করার জন্য যা যা করার দরকার তার সবটাই করবে।’
প্রেসিডেন্টকে দেওয়া নোটে বলা হয়, বেনেটের পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন লাপিড। তিনি দায়িত্ব নেবেন ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট থেকে।
জোটের অন্য দলগুলো হচ্ছে- ইয়াস আতিদ। যাদের আসন সংখ্যা ১৭। বেনি গান্টজ নেতৃত্বাধীন ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি। যাদের আসন সংখ্যা ৮। এর পর এভিগডোর লিবারম্যানের ইসরাইল বেইতেইনু। এ দলের আসন সংখ্যা ৭। মেরেভ মিখাইলের লেবার পার্টির আসন ৭টি, নাফতালি বেনেটের ইয়ামিনা পার্টির আসন ৭টি, গিডেউন সারের নেতৃত্বাধীন নিউ হোপের আসন ৬টি, নিটজান নিতজান হোরোভিটসের নেতৃত্বাধীন মেরেটজের আসন ৬টি এবং মনসুর আব্বাস নেতৃত্বাধীন রাম পার্টির আসন সংখ্যা ৪।
১২০ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে নতুন জোট ব্যর্থ হলে ইসরায়েলে দুই বছরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
ডেঙ্গুতে এক দিনে মারা গেছেন আরও ৪ জন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন