নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সড়কে সৃষ্ট গর্ত ও খানাখন্দের মধ্যে অনেক সড়কের সংস্কারকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চলতি অক্টোবরের মধ্যে বাকি সড়কগুলোর সংস্কারও শেষ হবে। আগামী নভেম্বর থেকে নগরবাসী এসব সংস্কারকাজের সুফল পাবেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের দিকনির্দেশনা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক নজরুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নভেম্বর মাসে যেন মানুষ সুফল পান, সেই লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে সংস্থার প্রকৌশল বিভাগ।
গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অতিবৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন বিভিন্ন সড়কে সৃষ্ট গর্ত ও খানাখন্দের ফলে জনগণ দুর্ভোগ পড়েন। ২৮ সেপ্টেম্বর এ এফ হাসান আরিফ লালবাগ এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা নগর কর্তৃপক্ষকে লালবাগের সংশ্লিষ্ট সড়কসহ সব সড়কে সৃষ্ট গর্ত ও খানাখন্দ দ্রুত মেরামতের নির্দেশনা দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংস্থার প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দেন। এসব সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন তদারকিতে নবনিযুক্ত প্রশাসক দাপ্তরিক কর্মদিবস ছাড়া ছুটির দিনেও দপ্তরে উপস্থিত থেকে তদারকি করছেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে চলেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে সচিবালয়সংলগ্ন সড়ক, সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, মিরপুর রোড, ঢাকেশ্বরী প্রধান সড়ক, শিক্ষা বোর্ড এলাকা, লালবাগ রোড, নীলক্ষেত রোড, কাঁটাবন সড়ক ও বাবুপাড়া রোড, হাতিরপুল বাজারসংলগ্ন সড়ক, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি, শাহবাগ মোড়, পলাশী হতে শহীদ মিনার, সাইন্সল্যাব মোড়, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, বেইলি রোড, শান্তিনগর, ধানমন্ডি ১৩/এ, ৫/এ, পলাশী এলাকা, রাজারবাগ রোড, শাহজাহানপুর মোড়, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা, আউটার সার্কুলার রোড, জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গভবন, মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড়, যাত্রাবাড়ী থেকে ধোলাইপাড় রোড, ধলপুর থেকে সায়েদাবাদ এলাকা, জয়কালী মন্দির, হাটখোলা রোডসহ বেশ কিছু এলাকার সড়কে সৃষ্ট গর্ত ও খানাখন্দ মেরামত করা হয়েছে। অন্যান্য সড়কগুলোতে সৃষ্ট গর্ত ও খানাখন্দ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘব করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। যেসব সড়কে মেরামতের কাজ বাকি আছে, সেসব সড়কের মেরামতের কাজ এ মাসের মধ্যেই শেষ হবে এবং আগামী মাস থেকে নগরবাসী আমাদের এসব কার্যক্রমের সুফল ভোগ করবে।’
প্রসঙ্গত, ১২ অক্টোবর প্রথম আলোতে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটির সড়কে একটু পরপর গর্ত, খানাখন্দ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ সিটির প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ শতাংশ সড়কে গর্ত-খানাখন্দ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন
জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের আহবায়ক ইকবাল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজ
বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক ফোরাম সম্মাননা পেলেন শামছুল আলম
চাকরি হারাতে পারেন ৫৪ লাখ বাংলাদেশি