রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট অবস্থান নিয়েছে।
হলুদ ফিতা লাগিয়ে পুলিশ এলাকাটিকে অপরাধ স্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও পুলিশের তৎপরতার একদিন পর বুধবার রাত থেকে ঢাকায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজয়নগর ও ফকিরাপুল মোড়ে নাইটিংগেল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কোনো যানবাহন দেখা যায়নি।
এলাকায় সাঁজোয়া ও পুলিশের গাড়িসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
বুধবারের সংঘর্ষের পর আজ সকাল থেকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি।
আজ সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিএনপি কার্যালয়ে যেতে বাধা দেয়া হয়।
সকালে ঢাকার একটি আদালতে হাজির হওয়ার পর ফখরুল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিজয়নগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
মা-নবজাতকের মৃত্যু: ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ ফাইল ছবি নোয়াখালীর সাউথবাংলা হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা ও অপ চিকিৎসার কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ৫০ কোটা টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্টার, নোয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন, নোয়াখালীর সাউথ বাংলা হাসপাতাল, হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) ডা. মো. আক্তার হোসেন অভি, তার স্ত্রী নোয়াখালী মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) জুনিয়র লেকচারার ডাক্তার ফৌজিয়া ফরিদ, সাউথ বাংলা হাসপাতালের মেডিকেল সহকারী জাহিদ হোসেন ও ওটি ইনচার্জ সজিব উদ্দিন হৃদয়কে বিবাদী করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে সেনবাগ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এমএ আউয়াল তার গর্ভবতী মেয়ে উম্মে সালমা নিশির চিকিৎসার জন্য সাউথবাংলা হাসপাতালে আসেন। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কর্মরত মেডিকেল সহকারী জাহিদ হোসেনের সহায়তায় ডা. আক্তার হোসেন অভি ও তার স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করে ও রোগীর কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এবং অভিভাবকের সম্মতি না নিয়েই তাড়াহুড়া করে সিজার করেন। তখন ঘটনাস্থলেই মা ও সন্তানের মৃত্যু হয়। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক ডা. অভি ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ফরিদ প্রসূতির অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে কুমিল্লায় পাঠায়। ভিকটিমের অভিভাবকরা তাকে কুমিল্লার টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে ভিকটিম উম্মে সালমা নিশি ও তার নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় ৫ দিনের মধ্যে ভিকটিমের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।
মদ্যপানের কারণে সমাজে শত্রুতা ও বিবাদ সৃষ্টি হয়
গুচ্ছ ভর্তিতে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়, বুধবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত