March 15, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, March 15th, 2025, 12:45 am

নরপশু সমাজের জন্য ক্ষতিকর: তমা মির্জা

 

শেষ পর্যন্ত জীবনপ্রদীপ নিভে গেল মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশু আছিয়ার। চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হলো তাকে। শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নারীদের নিরাপত্তা এবং ধর্ষকের বিচার নিয়ে তীব্র দাবি উঠছে।

ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন অনেকেই। দেশের তারকারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব রয়েছেন বিষয়টি নিয়ে।

শিশুটির মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট করে অভিনেত্রী তমা মির্জা বলেন, ‌‘শোনেন, আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলতে হয় রেখে দিলে দুর্গন্ধ ছড়ায়। দশ বিশজন পশুরূপী অমানুষ না থাকলে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কমবে না, কোনো ক্ষতিও হবে না। বরং নরপশু সমাজের জন্য ক্ষতিকর। ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সঙ্গে সঙ্গে মারেন, না পারলে সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে দেন।’

আছিয়া বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরের দিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়, তারপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু অকালে চলে যেতেই হল আছিয়াকে।