November 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, November 10th, 2024, 9:20 pm

নামাজে অহেতুক কাজ থেকে বিরত থাকুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নামাজ ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। একজন মুসলমান যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন পূর্ণ একাগ্রতার সাথে আল্লাহমুখী হওয়া উচিত। কারণ তখন সে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে একান্তে কথা বলার মতো অবস্থায় থাকে। রাসুলে কারিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلاَتِهِ فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ

যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাঁড়ায়, তখন সে তার রবের সাথে একান্তে কথা বলে। (সহিহ বুখারি: ৪০৫)

পৃথিবীতে কোনো রাজা-বাদশাহ তো বটেই একটু ক্ষমতাবান কারো সামনে গেলেও আমরা কত সতর্ক থাকি কোনোভাবে যেন তার প্রতি অনাগ্রহ, হেলাফেলা ভাব প্রকাশ না পায়। কোনোভাবে যেন বেয়াদবি না হয়ে যায়। আর যিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, মালিক, রাজাধিরাজ, তার সামনে দাঁড়ানোর সময় কত সতর্ক ও মনোযোগী হয়ে দাঁড়ানো উচিত তা কি বলার অপেক্ষা রাখে!

অথচ অনেককে অন্য সময়ের মতো নামাজ আদায়ের সময়ও বারবার কাপড় ঠিক করা, আঙুল ফোটানো বা নখ কামড়ানোর মতো অহেতুক কাজে লিপ্ত থাকতে দেখা যায়। কেউ যদি নামাজে আল্লাহর সামনে নিজের অবস্থানের কথা যথাযথভাবে মনে রাখে, তার পক্ষে নামাজে এ সব অনর্থক কাজ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

ইসলামি আইনবিশারদগণ নামাজের মধ্যে আঙুল ফোটানো নখ কামড়ানোসহ যে কোনো অনর্থক কাজ করাকে মাকরুহ বলেছেন। নামাজের সময় সব ধরনের অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

নামাজে যথাযথ মনোযোগ ও বিনয় না থাকলে, একাগ্র মনে আল্লাহমুখী হয়ে নামাজ না পড়লে নামাজের সওয়াব পুরোপুরি পাওয়া যায় না। আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,

إِنَّ الرَّجُلَ لَيَنْصَرِفُ وَمَا كُتِبَ لَهُ إِلَّا عُشْرُ صَلَاتِهِ تُسْعُهَا ثُمُنُهَا سُبُعُهَا سُدُسُهَا خُمُسُهَا رُبُعُهَا ثُلُثُهَا نِصْفُهَا ‏

এমন অনেক লোক আছে যারা নামায পড়ে কিন্তু তাদের নামাজ পুরাপুরি কবুল না হওয়ায় পূর্ণ সওয়াব তারা পায় না। তাদের কেউ দশ ভাগের এক ভাগ, কেউ নয় ভাগের এক ভাগ, আট ভাগের এক ভাগ, সাত ভাগের এক ভাগ, ছয় ভাগের এক ভাগ, পাঁচ ভাগের এক ভাগ, চার ভাগের এক ভাগ, তিন ভাগের এক ভাগ বা দুই ভাগের এক ভাগ সওয়াব পেয়ে থাকে। (সুনানে আবু দাউদ: ৭৯৬)