রংপুর ব্যুরো:
বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল রোরবার সকালে মিছিল ও রংপুর প্রেসক্লাব চত্তরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সংগঠনের জেলা সদস্য আলো বেগমের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড.নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী,বাসদ(মার্কসবাদী),
রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু,সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রংপুর জেলা কমিটির নেতা প্রিয় রানী।নেতৃবৃন্দ বলেন১৯৯৫ সালের এইদিনে দিনাজপুরের ১৪বছরের কিশোরী ইয়াসমিন কে একদল পুলিশ সদস্য গণধর্ষণ করে নির্মম ভাবে হত্যা করে।এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে দিনাজপুর বাসী। প্রতিরোধ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৭জন আন্দোলনকারী বীর জনতা। প্রতিরোধ গড়ে উঠে সারাদেশে।আন্দোলনের মুখে তিন পুলিশ সদস্যের ফাঁসি হয়।তার কেটে গিয়েছে ৩০ বছর।কিন্তু আজও দেশে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি।নারী পায়নি সমানাধিকার।অথচ শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি প্রতিরোধ আন্দোলনে নারী সম্মুখসারিতে থেকে লড়াই করেছে,রক্ত ঝরিয়েছে।সর্বশেষ ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনে চরম নিপীড়নের মুখে মুখে আন্দোলন যখন পিছু হটতে থাকে নারীরাই তখন এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়েছে এবং বিজয়ী হওয়া পর্যন্ত মাঠে সংগ্রাম করেছে।কিন্তু ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর নারীদেরকে দূরে ঠেলে দেয়া হয়েছে।শুধু তাই নয় নতুন পরিস্থিতিতে নারীদেরকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।পথে ঘাটে সর্বত্র পোশাকের কথা বলে,পর্দার কথা বলে নারীদের উপর চালানো হচ্ছে নির্মম অত্যাচার।আমরা মনে করি এসব কর্মকান্ডের দ্বারা পরিকল্পিতভাবে জুলাইয়ের যে চেতনা -ধর্ম,বর্ণ এবং লিঙ্গীয় বৈষম্যমুক্ত, স্বাধীন,মানবিক সমাজ গড়ার আকাঙ্খা তার সাথে বিম্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে।এভাবে একটা সভ্য সমাজ গড়ে উঠতে পারেনা।৫২’র ভাষা আন্দোলন,৭১এর মুক্তিযুদ্ধ,৯০ এর গণঅভ্যুত্থান, ৯৫ এর নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলন,২৪এর গণঅভ্যুত্থান একই চেতনার ধারাবাহিকতা।কাঙ্ক্ষিত সেই সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বরাবরের মত এবারেও ভূলুন্ঠিত হতে চলেছে।
তাই আমাদের সংগ্রাম জারি রাখতে হবে।প্রতিরোধ সংগ্রামের সেই চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র সামনের দিনে যে লড়াই গড়ে তুলবে সেই লড়াইয়ে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।নিম্নোক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।দাবিসমূহ:জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা কর।.অপসংস্কৃতি- অশ্লীলতা, মাদক- জুয়া বন্ধ করতে হবে। নাটক- সিনেমা -বিজ্ঞাপনে নারীদেহের অশ্লীল উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে। ইন্টারনেটের সকল পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পর্ণ পত্রিকা, সিডি, বই বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে।ক্ষেতে- খামারে, হোটেলসহ বিভিন্ন খাতে শ্রমজীবী নারীদের সমকাজে সমমজুরি নিশ্চিত কর। সকল বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত ও প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ৫০০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।##
আব্দুর রহমান মিন্টু
রংপুর ব্যুরো চীফ
আরও পড়ুন
কারো উশৃংখল বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কাজ ব্যাহত হবে না
বড়লেখা পৌর বিএনপির কাউন্সিল, সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সম্পাদক আব্দুল হাফিজ
কুলাউড়ায় শ্রেণিকক্ষে সিলিং ফ্যান পড়ে ছাত্রী আহত