আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়ের পর বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল চলমান আইসিসি নারী বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছে।
শুক্রবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র চার রানে পিছিয়ে পড়ে।
খেলায় বাংলাদেশ নারী দল দুর্দান্ত বোলিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১৪০ রানে বেধে ফেলে।
শেষ ৩ উইকেটে ক্যারিবীয়রা ৭০ রান তুলতে সক্ষম হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার শেমাইন ক্যাম্পবেল ১০৭ বল খেলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এটিই তাদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
বাংলাদেশের পক্ষে সালমা খাতুন ও নাহিদা আক্তার ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম, রুমানা আহমেদ ও রিতু মনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার শামীমা সুলতানা শূন্য রানে ফিরে যান।
পরের ৩ ব্যাটার – শারমিন আক্তার, ফারজানা হক এবং (অধিনায়ক) নিগার সুলতানা – যথাক্রমে ১৭ , ২৩ এবং ২৫ রান করেন।
৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ রানে। এরপর ৬০ থেকে ১০০তে পৌঁছাতে আরও পাঁচটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
রুমানা এবং রিতু দুজনেই শূন্য রানে ফেরেন সাজঘরে। সালমা এবং নাহিদা যথাক্রমে ২৩ এবং ২৫ রান করে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন।
শেষ ছয় বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল আট রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে ২ রান নেন নাহিদা। পরের বলে একটি সিঙ্গেল নেন নাহিদা। তবে এরপরে তৃতীয় বলে শেষ ব্যাটার ফারিহা তৃষ্ণা স্ট্যাফানি টেলরের বলে বোল্ড হন।
বাংলাদেশ ৪৯ দশমিক ৩ ওভারে সব উইকেটে ১৩৬ রান করে মাত্র চার রানে ম্যাচটি হেরে যায়।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার খেলা শেষে বলেছেন, আমরা জয়ের খুব কাছে ছিলাম। আমাদের বোলাররা যেভাবে শুরু করেছিল, তা অবিশ্বাস্য। আমি আমাদের ব্যাটিং নিয়ে বেশ হতাশ। আমাদের পার্টনারশিপের অভাব ছিল এবং শেষ পর্যন্ত আমার খেলতে পারা উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, এই শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে ভবিষ্যতে কাজ করতে হবে। আমরা কন্ডিশনকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছিলাম এবং বোলাররা সেটা করতে পেরেছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খাসি-মুরগি-মাছ
টেস্ট ক্রিকেট: মরণদশা থেকে বাঁচানোর উপায় কী
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়