April 30, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, April 30th, 2025, 6:26 pm

নারী শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা।

তিনি বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামী শ্রমনীতির মাধ্যমে দেশের শ্রমজীবী সমাজের হাতকে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করা সম্ভব।

মে দিবসে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এক বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বিশ্বের শ্রমিক সমাজ, এর অনুপ্রেরণায় অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তবে শ্রমিকদের অধিকার আজও পুরোপুরি আদায় হয়নি। শ্রমিকদের যথাযথ বেতন-ভাতা, কর্মপরিবেশ ও কর্মঘণ্টার দাবিতে এখনও তাদের রাজপথে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এমনকি অনেক সময় আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়!

দেশে প্রায় অর্ধেক নারী শ্রমিক আছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে অর্ধেকেরও বেশি নারী। এই নারী শ্রমিকদের অবস্থা আরো করুণ! এখনও নারী শ্রমিকরা ন্যায্য ভাতা পান না।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, নারী পুরুষ উভয়েই ন্যায্য অধিকার পাবে এটাই মে দিবসের দাবি। কলকারখানা ও উৎপাদন সেক্টরগুলোতে মালিক শ্রমিক দ্বন্দ্ব প্রায় লেগেই থাকে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে দেখা যায় অনেক সময়। অন্যদিকে শ্রমিকরাও অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন যা দুঃখজনক!। এ ব্যাপারে মালিক শ্রমিক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটা আবশ্যক।

তিনি বলেন, মালিক শ্রমিকের দ্বন্দ্বের অবসান ও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সঠিক সমাধান রয়েছে ইসলামী শ্রমনীতিতে। শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পাওনা পরিশোধ করার তাগিদ করেছেন রাসূল সা.। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয়ের জন্যই প্রকৃত কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হবে।

শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের বৈষম্য দূর করে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর মধ্যে দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দেশের শ্রমজীবী সমাজ তাদের হাতকে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।