অনলাইন ডেস্ক :
গা গরমের ফুটবলের পর ক্যাচিং অনুশীলন শেষ করে সবার আগে নেটে ঢুকলেন তাওহিদ হৃদয়। স্পিনার ও থ্রোয়ারদের বলে ব্যাটিং করলেন লম্বা সময়। পরে তিনি নেট ছাড়লেন মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেনদেন জন্য। কিছুক্ষণ পর আবার এলেন নেটে থাকা এক লেগ স্পিনারের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের জন্য। এখানেই থামলেন না। এরপর তিনি চলে গেলেন অন্য প্রান্তের নেটে। এবার চলল বড় শট অনুশীলন। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুশীলনে এভাবেই দেখা গেল হৃদয়কে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুটা তিনি এমনভাবে করেছেন, তাতে তার দিকে সবার বাড়তি নজর থাকারই কথা। সেই দৃষ্টি যেমন সংবাদকর্মীদের আছে, তেমনি আছে টিম ম্যানেজমেন্টেরও।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস যেমন জানিয়ে দিলেন, তরুণ এই ব্যাটসম্যানের কাছে এখন ধারাবাকিতা দেখতে চান তিনি। বিপিএলের সবশেষ আসরে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে জাতীয় দলে সুযোগ পান হৃদয়। গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয় টি-টোয়েন্টিতে। প্রথম ওয়ানডে খেলার সুযোগ পান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। অভিষেকেই তিনি খেলেন বাংলাদেশের রেকর্ড ৯২ রানের ইনিংস। পরের ম্যাচে ¯্রফে ১ রানের জন্য পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে একই দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আবার তিনি খেলেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস, ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ বলে ৬৮ রান। এবার ভিন্ন প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও হেসেছে হৃদয়ের ব্যাট।
বাকি ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতার দিনে লড়াকু ব্যাটিংয়ে ৫১ রান করেন তরুণ ব্যাটসম্যান। সব মিলিয়ে ৬ ইনিংসের ক্যারিয়ারে তিন ফিফটিতে এরইমধ্যে ৫০ গড়ে ৩০০ রান করে ফেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান নিজের প্রথম ৬ ইনিংসে আড়াইশ রানও করতে পারেননি। আগের সর্বোচ্চ ছিল শাহরিয়ার নাফিসের, ৩৮.৩৩ গড়ে ২৩৩ রান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমন উড়ন্ত সূচনা পাওয়া ও দারুণ ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যানের কাছে নিয়মিতই বড় ইনিংসের প্রত্যাশার কথা জানান লিটন। “কোনো ক্রিকেটার যখন এভাবে (হৃদয়ের মতো) পারফর্ম করে, এটা তো দলের জন্য ভালো। আমি চাইব, ও যেন নিজের পারফরম্যান্সটা ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে পারে। এর থেকে বড় আর কী!”
“এখন আমার হাতে এই দল। আগামী ম্যাচে যদি ও একশ মারে, অধিনায়ক হিসেবে এর চেয়ে বড় পাওয়া তো আর থাকবে না। আমি চাইব, হৃদয় যেন ওই জায়গাটায় ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে থাকে এবং বড় বড় রান করতে থাকে।” এখন পর্যন্ত সবগুলো ইনিংসই পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করেছেন হৃদয়। তাকে এই পজিশন ছেড়ে দিতে ছয়ে নেমে গেছেন মুশফিকুর রহিম। ভবিষ্যতে কখনও হৃদয়কে আরও ওপরে দেখার সম্ভাবনারও উড়িয়ে দেননি লিটন। “(হৃদয়কে আরও ওপরে খেলানো) ম্যাচের ওপর নির্ভর করবে, বোলারের ওপর নির্ভর করবে। যদি আমাদের মনে হয়, অবশ্যই।”
আরও পড়ুন
টেস্ট ক্রিকেট: মরণদশা থেকে বাঁচানোর উপায় কী
একটা ধাক্কায় কোহলির ৪ লাখ টাকা জরিমানা
মাশরাফি–সাকিব কি খেলবেন বিপিএলে?