অনলাইন ডেস্ক :
গোটা ফুটবল বিশ্বই কেঁপে উঠেছিল। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রধানই কিনা দুর্নীতি করেছেন! জল অনেক গড়ানোর পর সেপ ব্ল্যাটার ফিফা সভাপতির পদ থেকে সরেই দাঁড়ান। যাকে সঙ্গে নিয়ে এই সুইস ফুটবল সংগঠকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তৎকালীন উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনিও চেয়ার ছাড়েন। ২০১৫ সালে দুর্নীতির বোমা ফাটার পর থেকে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন দুই সাবেক ফুটবল কর্তা। অবশেষে আদালতের রায়ও পক্ষে পেলেন। দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন ব্ল্যাটার-প্লাতিনি। অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে ব্ল্যাটার ও প্লাতিনি মিলে ফিফা থেকে ২০ লাখ ফ্রাঁ হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ফিফার দুর্নীতি, ঘুষ ও জালিয়াতির তদন্ত শুরু করলে এই দুই শক্তিধর ফুটবল কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এরপর সুইজারল্যান্ডের ফেডারেশন ক্রিমিনাল কোর্টে মামলা চলে। এই আদালতই শুক্রবার (৮ জুলাই) দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছেন ব্ল্যাটার ও প্লাতিনিকে। ব্ল্যাটার ১৭ বছর ছিলেন ফিফা সভাপতির পদে। তবে দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে তাকে ছাড়তে হয় চেয়ার। ২০১৫ সালে যখন সভাপতির চেয়ার টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই আসে বড় ধাক্কা। আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, ব্ল্যাটার ঘুষ হিসেবে ফিফার ২০ লাখ ফ্রাঁ দিয়েছিলেন প্লাতিনিকে। যদিও সুইস ফুটবল সংগঠক বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। ৮৬ বছর বয়সী ব্ল্যাটারের দাবি, ১৯৯৮ সালে নিজের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি প্লাতিনিকে। সেসময় প্লাতিনি বার্ষিক ১০ লাখ ফ্রাঁ দাবি করেন। কিন্তু ওই সময় ফিফার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় ব্ল্যাটার তাকে ৩ লাখ ফ্রাঁ দিতে রাজি হন, আর বাকিটা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্লাতিনিও রাজি হয়ে যান। এরপর ২০০২ সালে ফিফার কাজ ছেড়ে দেন প্লাতিনি। যদিও তিনি বাকি থাকা অর্থ ২০১০ সাল পর্যন্ত চাননি। পরবর্তীতে যখন জানতে পারেন ফিফার অন্য কর্মকর্তারা বকেয়া অর্থ পাচ্ছেন, তখন ‘প্রাপ্য’ টাকা দাবি করেন প্লাতিনি। সেটা পেতে বেশি দেরিও করতে হয়নি। ব্ল্যাটার অনুমতি দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে অর্থ পেয়ে যান ফরাসি কিংবদন্তি। ২০১৫ সালের এই মামলা ১১ দিন ধরে শুনানি চলার পর শেষ হয়েছে ২২ জুন। আর গতকাল শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের আদালত জানালেন রায়। সেই রায়ে নির্দোষ ঘোষণার পর প্লাতিনি বলেছেন, ‘আমাকে যারা ভালোবাসেন, তাদের আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই, সাত বছরের মিথ্যাচার ও কারসাজির পর অবশেষে সুবিচার পেলাম। এই শুনানিতে সত্যের আলো জ¦লেছে। এই বিচারের সঙ্গে জড়িত বিচারকরা স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
আরও পড়ুন
ঝোড়ো ইনিংস খেলে কেন মাহমুদউল্লাহকে কৃতিত্ব দিলেন রিশাদ?
বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে বাংলাদেশ
মুখোমুখি হচ্ছেন সাকিব-তামিম