অনলাইন ডেস্ক :
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নির্মাতা বদিউল আলম খোকনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে। বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যনির্বাহী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমিতির নিয়মবহির্ভূত কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ার কারণে বদিউল আলম খোকনের এক বছরের জন্য সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা ফেরত দেওয়ারও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে বদিউল আলম খোকন বলছেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমাকে আটকানোর জন্য সোহানুর রহমান সোহানের কেবিনেট এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। কেননা আসন্ন নির্বাচনে আমি ইলেকশন করব এমন একটি আশঙ্কা থেকে আমাকে সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ’ খোকন দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা সত্য নয়। তার পরেও সংবিধান অনুযায়ী এটার ‘রিকভারি’ করার সুযোগ রয়েছে। তারা সেটা না করে সরাসরি আমার সদস্যপদ স্থগিত করেছে। খোকন অভিযোগ সম্পর্কে শুক্রবার সকালে বলেন, ‘১৮-১৯ মেয়াদের কোষাধ্যক্ষ প্রয়াত ইলিয়াস ভুইয়া একজন অ্যাসোসিয়েট মেম্বারের ৫০ হাজার টাকা সদস্য ফি ও পিকনিকের ডোনেশন বাবদ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। সে সময় তিনি তার এক পিয়ন মারফত টাকাটা পাঠিয়েছিলেন। আমি ওই সময় সমিতির অফিসে ছিলাম না। ফোন করে বলেছিলাম টাকাটা নিয়ে রাখতে। পরে টাকাটা বুঝে পেয়েছে সমিতি এমন একটা ডকুমেন্ট চায় ঐ পিয়ন। ’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সমিতির পিয়ন আমার কাছ থেকে এসে একটা কাগজে লিখে দিতে বলে। তখন আমি প্যাডে লিখে দিয়েছিলাম। পরে তাঁকে সদস্য বানিয়েছি। এরপর ইলিয়াস ভুইয়া মারা যান। একদিন ওই অ্যাসোসিয়েট মেম্বার জানতে চান সমিতির চাঁদা রয়েছে নাকি। আমি বললাম ১০০ টাকা করে চাঁদা, এসে দিয়ে যান। উনি আসেন, পরে আমি খুঁজতে গিয়ে দেখি রেজিস্ট্রার খাতায় তার নাম নেই। এখন ইলিয়াস ভুইয়া প্রয়াত। তার পরেও আমি উদ্যোগ নিয়েছি সদস্য বানাতে। এরইমধ্যে ওই অ্যাসোসিয়েট মেম্বার আমার লেখা কাগজপত্রসহ সমিতিতে জমা দেন। ’ যেহেতু এর দায়-দায়িত্ব সবই বদিউল আলম খোকনের, কেননা তিনি তখন মহাসচিব ছিলেন। তিনি এই ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। এবং দিতে রাজিও ছিলেন। তার পরেও এমন সিদ্ধান্ত অনাকাক্সিক্ষত জানিয়ে বলেন, ‘আমি টাকাটা দিতে বাধ্য যেহেতু আমি মহাসচিব ছিলাম। আমি দিতেও রাজি কিন্তু তারা আমার সদস্যপদ স্থগিত করেছে। এটা একটা নির্বাচনী চাল। ’
আরও পড়ুন
‘আপনাদের মন বলতে কিছু নেই’
প্রতিবছরই এভাবেই বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান: তমালিকা
‘পিনিক’–এ ফার্স্ট লুকে অন্য রকম বুবলী