নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ভয়ংকর চর্চা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার করেছি—নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড বা কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা আমরা সমর্থন করি না।’
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ১৪ দলীয় জোটকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে, এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নির্ধারিত হোক। এটা কোর্ট নির্ধারণ করবে। এর জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছে। এই আইন আগে ছিল না। এখন গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যেকোনো দলের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আদালত সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচন কমিশন মানতে বাধ্য। এই প্রক্রিয়ার বাইরে কোনো প্রক্রিয়াকে বিএনপি সমর্থন করে না।
কিছু আসন পাওয়ার লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর পদ্ধতি চাইলে তা ভয়ংকর পরিণতি নিয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচন পেছানোর আশঙ্কা দেখছেন কি না জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য অথবা বাধাগ্রস্ত করার জন্য যেকোনো রাজনৈতিক কৌশলকে দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। এটা আমরা আগেও বলেছি। কারণ ভোটাধিকার প্রয়োগের দাবি আদায়ের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশের মানুষ গত ১৬-১৭ বছর অবিরাম সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে।
সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, দ্রুত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন না হলে দেশে একটি সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে, তখন পতিত ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে। তাদের হাত ধরে দেশে আঞ্চলিক শক্তি জড়িয়ে যেতে পারে। এটা কেন্দ্র করে বৈশ্বিক শক্তিও সুযোগ নিতে পারে। এতে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ২৮ দল অংশগ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিষিদ্ধ চাইলে এই ২৮টি দলকে দোসর হিসেবে নিষিদ্ধ চাইতে হবে। তাহলে নির্বাচনটা কাদের নিয়ে হবে—প্রশ্ন রাখেন সালাহউদ্দিন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, নিজেদের অতিরিক্ত সুবিধার জন্য আরও অনেক দলের নিষিদ্ধ চাইতে পারে। তবে এখানে আওয়ামী লীগের বিষয়টি আলাদা, তারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য দায়ী। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরাই প্রথম আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি করেছিলাম।
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি অন্য কোনো দলের বিরুদ্ধে যদি একই অভিযোগ থাকে, সেটা আদালতে উত্থাপন করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
নাসা গ্রুপের মালিক নজরুলের দুবাইতে রিসোর্ট ও সাড়ে তিনশ বিঘা জমির সন্ধান
কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে ২১ কোটি টাকা লোপাট, আসামি সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদসহ ২৫
আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ