রংপুর ব্যুরো:
রংপুর অঞ্চলের তিন নারী—প্রতিমা রানী রায়, সাবিনা বেগম ও মরিয়ম বেগম—প্রমাণ করেছেন, প্রতিকূলতা কখনো নারীর অগ্রযাত্রা থামাতে পারে না। নির্যাতন, দারিদ্র্য ও সামাজিক বঞ্চনার দেয়াল ভেঙে তারা আজ নিজেদের জীবনের নির্মাতা।গংগাচড়া উপজেলার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী প্রতিমা রানী রায় একসময় অকালবিয়ে, পারিবারিক নির্যাতন ও স্বামীর পরিত্যাগের শিকার হন। গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের প্রসপারিটি প্রকল্পে যুক্ত হয়ে হাঁস ও ছাগল পালন শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর খামারে ১৮টি ছাগলসহ একাধিক আয়ের উৎস গড়ে উঠেছে। এই সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি উপজেলা পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী’ পুরস্কার লাভ করেন।একই উপজেলার সাবিনা বেগম দিনমজুর পরিবারের দারিদ্র্য কাটিয়ে ধাপে ধাপে গড়ে তুলেছেন সোনালী মুরগির খামার। বর্তমানে তাঁর খামারে প্রায় ১১০০টি মুরগি রয়েছে। সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি স্থানীয় নারীদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তিনি ‘শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী পুরস্কার–২০২৫’ অর্জন করেন।কাউনিয়া উপজেলার মরিয়ম বেগম দারিদ্র্য ও বাল্যবিবাহের বাস্তবতা থেকে উঠে এসে গাভী পালন দিয়ে শুরু করে গড়ে তুলেছেন সমন্বিত খামার। গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালন করে তিনি এখন নিয়মিত আয় করছেন এবং গ্রামের নারীদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তিনিও উপজেলা পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী পুরস্কার–২০২৫’ লাভ করেন।বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।এই তিন নারীর গল্প শুধু ব্যক্তিগত সাফল্যের নয়—এগুলো গ্রামবাংলার অসংখ্য নারীর জন্য সাহস ও আশার বার্তা।

আরও পড়ুন
ডিমলার বুড়িতিস্তা নদী খনন ঘিরে উত্তেজনা, আনসার ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর
নাসিরনগর মৎস্য অধিদপ্তরের মাছচাষিদের নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর অনুষ্ঠিত
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া: সাপাহার উপজেলা বিএনপির শোক ও স্মৃতিচারণ সভা