নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) শ্রমিক অসন্তোষের জেরে চারটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেতন বৈষম্য ও কর্মপরিবেশের দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা বেতন কম পাওয়া, বিনা বেতনে ওভারটাইম করানো, চিকিৎসা সুবিধার অভাব, বিশুদ্ধ পানি ও দুপুরের খাবারের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জায়গার অনুপস্থিতির মতো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এসব বিষয়ে বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তা মানেনি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
আজকের আন্দোলনে উত্তরা ইপিজেডের দেশবন্ধু ও সেকশন সেভেনসহ মোট চারটি কোম্পানির শ্রমিকরা অংশ নেন। তারা জানান, কোম্পানির মালিকরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় বাধ্য হয়ে তারা বিক্ষোভে নামেন। পরে শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল বেপজা (বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি)-এর ডিরেক্টর কর্মকর্তার কাছে তাদের লিখিত প্রস্তাবনা পেশ করে।
কিছু শ্রমিক অভিযোগ করেন, বেপজা কর্তৃপক্ষের কিছু কর্মকর্তাও নাকি কারখানা মালিকদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে শ্রমিকদের দাবিগুলো উপেক্ষা করছেন।
এ বিষয়ে উত্তরা ইপিজেডের পরিচালক শংকর ভৌমিক বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। তবে কেউ কেউ পেছন থেকে শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।”
বর্তমানে উত্তরা ইপিজেড এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে নাটোরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
হাদির হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ
কুলাউড়ায় সরকারি ট্রান্সফরমারসহ পিকআপ জব্দ