নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারী পৌরসভার নতুন নির্মিত দ্বীতল সুপার মার্কেটে দোকান বরাদ্দের টেন্ডার রেট অস্বাভাবিকভাবে বেশি নির্ধারণ করায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ৮১টি দোকান বরাদ্দের জন্য পৌরসভা গত ১২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রব্বানী এন্টারপ্রাইজ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতি স্কয়ারফুট দোকানমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার টাকা। মার্কেটের দোকানগুলোর আকার ৯৪–৯৮ স্কয়ারফুট থেকে শুরু করে ১৯০–২০০ স্কয়ারফুট পর্যন্ত। এতে একটি দোকানের মোট মূল্য দাঁড়াচ্ছে কয়েক লাখ থেকে কয়েক লাখাধিক টাকা—যা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে “অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক এবং সাধারণ উদ্যোক্তাদের নাগালের বাইরে”।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, একই এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি মার্কেটগুলোতে দোকানের মালিকানা বা ভাড়ার হার এত বেশি নয়। ফলে পৌরসভার নির্ধারিত রেট বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এ বিষয়ে নীলফামারী পৌর প্রশাসক মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন,
“টেন্ডার রেট নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরের চার সদস্যের কমিটি নির্মাণসামগ্রীর বাজারদর—রড, সিমেন্ট, বালু, ইট ইত্যাদি—পর্যালোচনা করে প্রতি স্কয়ারফুট মূল্য ভ্যাটসহ ৮ হাজার টাকা প্রস্তাব করেছে। আশপাশের বেসরকারি মার্কেটগুলোর রেট যাচাই করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই—এ বিষয়ে আমি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
অন্যদিকে, মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বুলেট বলেন,
“দোতলা মার্কেট আদৌ সফল হবে কি না তারও নিশ্চয়তা নেই। এত বেশি রেটে দোকান নিলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রশাসক যদি প্রতি স্কয়ারফুটের দাম ৫ হাজার টাকার মধ্যে রাখতেন, তাহলে সবার জন্য সুবিধা হতো।”
ব্যবসায়ী সমাজ জানিয়েছে, তারা শিগগিরই টেন্ডার রেট পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানাবেন। শহরবাসীরও আশঙ্কা—এত উচ্চ মূল্য নির্ধারণ করলে প্রকৃত উদ্যোক্তারা বরাদ্দ পাবে না; ভবিষ্যতে এর প্রভাব বাজারদর ও পণ্যমূল্যের ওপরও পড়তে পারে।
এ নিয়ে শহরজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন
রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ঘেরাও
কুমিল্লা থেকে ৪০ রুটে বাস ধর্মঘট, চরম ভোগান্তি
মুরাদনগরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ইউপির চেয়ারম্যানসহ আটক-১০