নেপালে জেন জি আন্দোলনে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দশজনে পৌঁছেছে। আন্দোলনে শতাধিক বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মীও আহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে হাজারো বিক্ষোভকারী দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
নেপালি সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে, ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারে সাতজন, সিভিল হাসপাতালে দুজন এবং কাটমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ, সিনামঙ্গল-এ চিৎিসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হয়নি।
সরকারি দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়া হলেও আন্দোলন দ্রুত সহিংস রূপ নেয়।
বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও আকাশে গুলি চালিয়ে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, তবে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন কার্যালয় নতুন বাণেশ্বর, সিংহদরবার, নরায়ণহিটি ও সংলগ্ন সংবেদনশীল এলাকায় কারফিউ জারি করেছে।
কারফিউ চলাকালে এসব এলাকায় চলাচল, সমাবেশ ও যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
একদিকে নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আন্দোলন দেশের অন্যান্য বড় শহরেও ছড়িয়ে পড়ছে।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
ইসরায়েলে বাসে গুলিবর্ষণে নিহত ৫, আহত ২২
নেপালে ছাত্র-জনতার পার্লামেন্ট দখল, সংঘর্ষে নিহত ১
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে প্যারিসে বিক্ষোভ