নেপালে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে নতুন সরকার গঠনের আলোচনা চলমান। দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া তরুণ নেতারা।
তাৎক্ষণিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। তবে এই সরকারের প্রধান কে হবেন তা জানতে চূড়ান্ত ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদিও ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তবর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছেন সেনাবাহিনী ও তরুণ নেতৃত্ব। আন্দোলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর এ সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হচ্ছে বলে দাবি করেছে ওই সূত্র।
৭৩ বছর বয়সী সুশীলা নেপালের প্রথম ও একমাত্র নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি তার সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য সুপরিচিত। জেনারেশন-জি আন্দোলনকারীরা তাকেই নেতৃত্বের জন্য উপযুক্ত মনে করছেন। প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে শুক্রবার দুপুরে চূড়ান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে সুশীলার নাম ঘোষণা করা হতে পারে। যদিও প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও সেনাবাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
জানা গেছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার নেপালি সেনার প্রধান কার্যালয় জাঙ্গি আড্ডায় টানা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে কার্কি নেপাল ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
একটি ভারতীয় টেলিভিশনকে দেওয়া ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে বলেন, আমি ভারতকে অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসি। মোদিজির কাজের ধরন আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ভারত নেপালকে অনেক সাহায্য করেছে। বর্তমানে নেপালের অবস্থা কঠিন, তবে আমরা উন্নয়নের জন্য কাজ করব এবং দেশের জন্য নতুন সূচনা করব।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন: চোখের সামনেই চুরি’
ফিলিস্তিনিদের প্রতি তারেক রহমানের সংহতি
বাংলাদেশের ক্ষমতায় জামায়াত আসলে চিন্তিত হতে হবে