নেপালে জেন-জি’র গণ-অভ্যুত্থানের পর চলছে কারফিউ। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ২ দিন হোটেলেই অবরুদ্ধ ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। অবশেষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), কাঠমান্ডুর দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের সম্মিলিত চেষ্টায় দ্রুত সময়ে দেশে ফিরছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে কাঠমান্ডুতে গিয়েও স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলতে পারেননি জামাল ভূঁইয়ারা। সরকারবিরোধী আন্দোলনের জেরে পুরো দেশজুড়ে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তাদের ‘হোটেল বন্দি’ থাকতে হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ উদ্যোগে দলকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০বি এয়ারক্রাফটের (১৫৩৭) একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশে ফিরছেন জাতীয় দলের ফুটবলার ও প্রীতি ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া ক্রীড়া সাংবাদিকরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার প্রতিবাদে গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে বিক্ষোভ শুরু হয়। তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এই আন্দোলন দ্রুত সহিংস রূপ নিলে পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।
তবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ সত্ত্বেও নেপালের পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ালে সেদিন দুপুর থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ত্রিভুবন বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল।
এদিকে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপালে গিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হলেও কাঠমান্ডু আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠলে, দ্বিতীয় ম্যাচের অনুশীলন বাতিল হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ ঘোষণার পাশাপাশি বাতিল করা হয় পরদিনের দ্বিতীয় ম্যাচও।
এমনকি এই আন্দোলনে জামালদের অবস্থান করা টিম হোটেলের পাশেও জ্বালাও-পোড়াও চলছিল। ফলে গত দুই দিন হোটেলে বন্দী অবস্থায় ছিলেন ফুটবলাররা। এদিকে এই কদিন অনিশ্চয়তার মাঝেও নিজেদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন ফুটবলাররা। বুধবারও টিম হোটেলে সবাই ঘাম ঝরিয়েছেন।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
রেকর্ড দামে ব্রেভিসকে কিনলেন সৌরভ
বিদায়ী ম্যাচে হাত নেড়ে সমর্থকদের ‘গুড বাই’ বললেন মেসি
বিসিবি সভাপতিকে হুমকির অভিযোগ, নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি