November 28, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, November 28th, 2025, 8:42 pm

পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সিআইডি’ র মানিলন্ডারিং মামলা

 

পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিস সরাফাতসহ চারজনের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬১৩ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা করা হয়। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডির ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে নাফিস সরাফাত তার সহযোগী ড. হাসান তাহের ইমামকে সঙ্গে নিয়ে ২০০৮ সালে ‘রেইস ম্যানেজমেন্ট পিসিএল’ নামে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গড়ে তোলেন। যাত্রার কয়েক বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি ১০টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনার দায়িত্ব পায়। বর্তমানে তাদের অধীনে রয়েছে ১৩টি ফান্ড।

অভিযোগ উঠেছে—এই ফান্ডগুলোর অর্থ অবৈধভাবে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছেন চৌধুরী নাফিস সরাফাত ও তার সহযোগীরা। ফান্ডের অর্থ ব্যবহার করে তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) ও সাউথইস্ট ব্যাংকের শেয়ার কেনার মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদে প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। এমনকি কৌশলে স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহীদকেও সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফান্ডের টাকা দিয়ে মাল্টি সিকিউরিটিজ নামে একটি ব্রোকার হাউস কিনে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। এছাড়া পদ্মা ব্যাংকের অর্থ ব্যবহার করে পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ করেন তারা।

সিআইডি জানিয়েছে, শুধু তাই নয়—বিও ও ব্যাংক হিসাব খোলা থেকে শুরু করে জালিয়াতির মাধ্যমে রাজউকের প্লট বরাদ্দ নেওয়া এবং বিদেশে অর্থ পাচারের পথও সুগম করেন অভিযুক্তরা।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, অভিযুক্তদের নামে ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৭৮টি হিসাব চালু ছিল। এসব হিসাবে মোট জমা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা এবং উত্তোলন হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। বর্তমানে নাফিস সরাফাত, তার স্ত্রী ও সন্তানের নামে ২১টি চলতি হিসাব রয়েছে, যেখানে স্থিতি মাত্র ২৯ লাখ ২১ হাজার টাকার মতো।

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী প্রতারণা, জালিয়াতি ও দেশি-বিদেশি মুদ্রা পাচারের মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৬১৩ কোটি ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫৯ টাকা অর্জনের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী-২০১৫) অনুযায়ী মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এনএনবাংলা/