পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার সন্ধ্যায় ফোন করেছেন এবং দু’দেশের পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় ও সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলেছেন।
প্রতিমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘দুজনেই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করার সময় সংযুক্ততা বাড়াতেও একমত হয়েছেন।’
যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায় নি তবে ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফ করার কথা রয়েছে। ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে তিনি আরও জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি অ্যান্ড স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঢাকার অসন্তোষ জানাতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে শনিবার তলব করেন।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যে বিষয়গুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ চলছে, এর মধ্যেই হঠাৎ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানা গেল।
পররাষ্ট্র সচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের এমন একটি সংস্থার ক্ষমতা হ্রাস করতে চাইছে, যেটি সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার ও অন্যান্য আন্তদেশীয় অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই তাদের যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হতো।
পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, কিছু নির্দিষ্ট ঘটনার জন্য র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো করা হয়েছে। এর আগে এই বিষয়গুলোর জবাবদিহিতার জন্য শুধু মার্কিন প্রশাসনের কাছে নয়, একাধিকবার জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার কাছেও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ সরকারের উত্থাপিত উদ্বেগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মিলার এবং মার্কিন রাজধানী ওয়াশিংটনে বিষয়টি জানানোর আশ্বাস দেন তিনি।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ ভোর বেলায় আগুনে পুড়ে গেছে
সরকারের সংস্কার এজেন্ডা সমর্থন করছে ইআইবি