ভারতের পেট্রাপোলে পরিচয়পত্র নিয়ে জটিলতায় দ্বিতীয় দিনের মতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত আমদানি বন্ধ ছিল।
এর আগে একই দাবিতে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। নানা সমস্যায় দু‘দিন পর পর এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বুদ্ধদেব বিশ্বাস বলেন, এতদিন আমরা সংগঠনের পরিচয়পত্র নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানির কাজ করে আসছিলাম। হঠাৎ করে গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিএসএফ থেকে বলা হয় ভারতীয় কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ও ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ স্বাক্ষরের পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এ কারণে শনিবার আট ঘণ্টা রপ্তানি বন্ধ থাকে। পরে এক বৈঠকে আলোচনার পর আবারও বাণিজ্য চালু হয়। তারা আমাদের সোমবার পর্যন্ত সময় দেয়। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে চারটি সংস্থা থেকে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করাও কঠিন। এ কারণে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে পেট্রাপোল বন্দরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিএসএফ সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয় পরিচয় ছাড়া কোনো ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট ও সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বন্দরে প্রবেশ করবে না। এতে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা বিঘ্ন ঘটায় শনিবার আট ঘণ্টা ভারত থেকে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের সমঝোতা বৈঠক শেষে বিকাল ৪টার দিকে আবারও বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়।
তিনি জানান, সোমবার আবারও একই দাবিতে আমদানি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট শ্রমিকরা যা মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে এখনও বলবৎ রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার বলেন, ‘এটা ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এরপরও আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে আমরা পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি।’
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
কর্মস্থলে ‘তুই-তুমি’ সম্বোধন বন্ধের সুপারিশ কমিশনের
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এসি ব্যবহারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পদক্ষেপ
হঠাৎ কক্সবাজারে পরীমণি! কাকে দিলেন সারপ্রাইজ?