অনলাইন ডেস্ক :
প্রকৃতির বিরাট সম্ভারে সজ্জিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র সুন্দর গিরিখাত কালিম্পং জেলার এলবং গ্রামে অবস্থিত রিভার ক্যানিয়ন ও গর্জ। বাংলাদেশের খুব কাছেই ভারতের এই পর্যটন এলাকায় আপনি পাবেন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, যা আপনি কখনও কল্পনাও করতে পারেননি। এই গিরিখাতটি আনুমানিক দুই কিলোমিটার লম্বা এবং দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে পানির স্রোত। খুব সুন্দর এই গিরিখাতটি যদি মানুষের কাছে তুলে ধরা যায় তবে এলাকার মানুষের আর্থিক পরিকাঠামোয় আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। তাদের মতে, এই গিরিখাতের সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। প্রকৃতি ঢেলে সাজিয়ে রেখেছে এই গ্রামকে। প্রচুর প্রজাপতি ডানা মেলে বিচরণ করছে নদীর আঙিনায়। রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় হারিয়ে যাওয়া পানির স্রোত। যাকে গর্জ বলা হয়। এসব অবিরল দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। পর্যটন দপ্তরের কাছে এখনো অধরা এলবং গ্রাম। ১৯৬৮ সালের আগে এই গ্রাম থেকে কয়লা খনন করে বাগরাকোট কয়লা কোম্পানিতে জমা করা হতো। আর সেই কয়লা ব্রিটিশরা চা বাগানে চা তৈরি করতে জ্বালানির কাজে ব্যবহার করতেন। কিন্তু সে বছরের ৪ অক্টোবর ভয়াবহ বন্যা পর থেকে সব পরিকাঠামো নষ্ট হওয়ার ফলে সেই গ্রাম আজও নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে। এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী, জীবন-জীবিকা ও আর্থিকভাবে গতি ফিরিয়ে আনতে এলবং গ্রামকে পর্যটন মানচিত্রে যথাযোগ্য স্থান দিয়ে রাস্তাঘাটের পরিকাঠামো উন্নয়ন করে, বিশ্ববাজারে এক নতুন দিগন্ত পর্যটনের ক্ষেত্রে খুলে যেতে পারে। এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে বিদেশিদের উপস্থিতি বাড়বে বলেই বিশ্বাস করেন স্থানীয় মানুষরা। স্থানীয় মানুষ ও রিভার ক্যানিয়নের গাইড ফ্রান্সিস রাই বলেন, আমরা বহুকষ্টে এই গ্রামে বসবাস করছি কিন্তু এই রিভার ক্যানিয়নকে নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে তেমন কোনো সাড়া পাচ্ছি না। বর্তমানে এখানে অল্প সংখ্যক পর্যটক প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। তাদের সব সরঞ্জাম আমরা নিজেরাই জোগাড় করে দেই এবং যারা ট্রেক করে ফিরে আসে তারা এক নতুন অনুভূতি নিয়ে ফিরে যান। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে এ ধরনের রিভার ক্যানিয়ন আর কোন জায়গায় নেই বলে মনে করেন স্থানীয়রা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের মানুষের কথা ভেবে, আর্থিকভাবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য রিভার ক্যানিয়ন ট্রেলকে পর্যটন দফতরের আওতায় আনার নির্দেশ দেবেন এমন আশায় বুক বাঁধছেন কালিম্পংবাসী। বিমানে বাগডোগরা থেকে গাড়িতে সোজা কালিম্পং এসে রিভার ক্যানিয়ন পৌঁছানো যায়। অথবা কলকাতা থেকে নিউজলপাইগুড়ি হয়ে কালিম্পং আসা যায়। তাই আর দেরি কেন? নতুন রোমাঞ্চকর এই অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করতে আজই বেরিয়ে পড়তে পারেন অজানা এই রিডার ক্যানিয়নের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন
রেকর্ড গড়া ঝাঁপ থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক বাংলাদেশির অ্যান্টার্কটিকা সফর, আছে আরও যত ঘটনা
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
ডেঙ্গুতে এক দিনে মারা গেছেন আরও ৪ জন