ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে এক মেডিকেল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে রাজ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) গভীর রাতে ছাত্রীটি এক বন্ধুর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় কয়েকজন যুবক তাদের আটকে মেয়েটিকে জোরপূর্বক একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী ছাত্রী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা।
রোববার (১২ অক্টোবর) এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাটিকে ‘মর্মান্তিক’ বলে উল্লেখ করলেও তার মন্তব্যে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘সে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ত। এর দায়িত্ব কার? রাত সাড়ে ১২টায় সে কীভাবে বেরিয়ে এলো? বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর উচিত শিক্ষার্থীদের এত রাতে বাইরে যেতে না দেওয়া।’
মমতা আরও জানান, ঘটনাস্থলটি বনাঞ্চল এলাকায় হওয়ায় পুলিশ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি অন্য রাজ্যগুলোর ধর্ষণ ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেন, ‘ওড়িশা, মণিপুর, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সরকারগুলোরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
তবে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। দলটির অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বদলে ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করছেন।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জানিয়েছে, এই নৃশংস অপরাধে তারা ‘গভীরভাবে দুঃখিত’। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভুক্তভোগীর যন্ত্রণা আমাদেরও যন্ত্রণা। অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে কোনো গড়িমসি করা হবে না।’
দুর্গাপুরের এই ঘটনাটি ঘটেছে ঠিক এক বছর পর, যখন কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
সৌদি আরবে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
ডেঙ্গুতে আরও ৬ মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৫৩
লাহোরে বিমান হামলা, ২৫ সীমান্তচৌকি দখল ও ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের