অনলাইন ডেস্ক :
অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তানে গত বুধবার রাতে বৃদ্ধি করা হয়েছে পেট্রোল ও গ্যাসের দাম। আর নতুন করে মূল্য বৃদ্ধির পর দেশটিতে আকাশ ছুঁয়েছে অতি প্রয়োজনীয় এসব জ্বালানির দাম। অর্থনৈতিক দুরাবস্থা কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে পাক সরকার। তবে আইএমএফ শর্ত দিয়েছে, ঋণ পেতে হলে বৃদ্ধি করতে হবে জ্বালানির দাম। আর সেই শর্ত অনুযায়ী, নতুন করে মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, নতুন করে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম বাড়ানো হয়েছে ২২ দশমিক ২০ রুপি। এতে এ জ্বালানির নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ২৭২ রুপি। হাই-স্পিড ডিজেলের দাম ১৭ দশমিক ২০ রুপি বাড়িয়ে ২৮০ রুপি করা হয়েছে। কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ১২ দশমিক ৯০ রুপি বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২ দশমিক ৭৩ রুপি। অপরদিকে লাইট ডিজেলের দাম ৯ দশমিক ৬৮ রুপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৬ রুপিতে। অর্থ বিভাগ অবশ্য দাবি করেছে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির অস্বাভাবিক দরপতনের কারণে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এ মূল্য বৃদ্ধির কারণে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ১৭০ বিলিয়ন রুপি কর আদায়ে যে ‘মিনি বাজেট’ ঘোষণা করা হয়েছে সেটিরও বিরূপ প্রভাব পড়বে। মুডিস অ্যানালাইটিকসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ক্যাটিরিনা এল জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে মুদ্রাস্ফীতি গড়ে ৩৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এরপর এটি কমতে পারে। এ ছাড়া শুধুমাত্র আইএমএফের ঋণ দিয়ে ইসলামাবাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হবে এমনটিও মনে করছেন না তিনি। এদিকে মিনি বাজেটের মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতাসীন শেহবাজ সরকার বাজেটের ঘাটতি এবং কর আদায়ের পরিধি বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে। মিনি বাজেটের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এফবিআর) একটি এসআরও জারি করে সেলস ট্যাক্স (সিএসটি) ১৮ শতাংশে উন্নীত করেছে। এর মাধ্যমে ১১৫ বিলিয়ন রুপি কর আদায় করা হবে। আর অন্যান্য খাত থেকে আদায় করা হবে আরও ৫৫ বিলিয়ন রুপি।
আরও পড়ুন
রেমিট্যান্স আহরণে ‘গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ইসলামী ব্যাংক
লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা
টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার