অনলাইন ডেস্ক :
আবারো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে। গত সোমবার বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার রাস্তায় পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে করা ওই বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছে ৮ জন। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে প্রকাশ, পুলিশ অনুমান করছে স্বাধীনতাপন্থী কোনো বালোচ সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে। বালুচিস্তান প্রাদেশিক পুলিশের আধিকারিক শফকত চিমা জানিয়েছেন, কোয়েটার কন্দহারি বাজারের রাস্তায় রাখা পুলিশের একটি গাড়িকে নিশানা করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বাজারের মধ্যে একটি মোটরবাইকে ‘ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইইডি) রাখা হয়েছিল। তিনি জানান, স্থানীয়দের সাহায্যে পুলিশ হতাহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত ফেব্রুয়ারিতে একই কায়দায় স্বাধীনতাপন্থী বালোচ ‘জঙ্গিরা’ বরখান প্রদেশে মোটরবাইকে রাখা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। সেই ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছিলেন। মার্চে কোয়েটায় একই কায়দায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৯ জন পুলিশকর্মীকে হত্যা করেছিল সংগঠনটির সদস্যরা। পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান প্রাকৃতিক ভাবে সবচেয়ে সম্পদশালী। ধীরে ধীরে তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ বালোচ নাগরিকদের। ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) তৈরির পরে গত কয়েক বছরে তা আরও বেড়ে চলেছে। পশ্চিম চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া এই করিডর কারাকোরাম পেরিয়ে প্রবেশ করেছে পাকিস্তানে। প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শেষ হয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে চীন নিয়ন্ত্রিত গ¦দর বন্দরে। ওই রাস্তা ব্যবহার করেই ইসলামাবাদ এবং বেজিংয়ের শাসকেরা বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে বলে ‘বালুচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি’ (বিএনএ), ‘বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি’ (বিএলএ) এর মতো স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ। বালুচিস্তানের গান্ধী বলে পরিচিত স্বাধীনতাপন্থী নেতা আবদুল কাদির বালোচ বেশ কিছুদিন আগে দিল্লি এসে বলেছিলেন, তারা চান ১৯৭১ সালে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেভাবেই পাশে দাঁড়াক বালুচিস্তানের।
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮